এক স্কুলছাত্রীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গণধর্ষণের চেষ্টাকারী গাড়িচালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকায় রজনীগন্ধা পরিবহনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সন্ধ্যার দিকে প্রাইভেট পড়া শেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক থেকে শিমরাইল মোড় যাওয়ার জন্য রজনীগন্ধা পরিবহনের একটি বাসে ওঠে। বাসটি মহাসড়কের শিমরাইল ইউটার্ন (ডাচ্-বাংলা ব্যাংক) এলাকায় পৌঁছালে সব যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটি চলা শুরু করলে ওই ছাত্রী শিমরাইল মোড়ের ফুটওভার ব্রিজে নামার কথা বলে হেলপারকে।
কিন্তু ছাত্রীকে না নামিয়ে বাসটি চলতে থাকে। এ সময় ছাত্রী নামতে চাইলে বাসের হেলপার সোলেমান (২২) জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ছাত্রী চিৎকার করলে গলা টিপে ধরে বাসের ভেতর নিয়ে যায় সোলেমান।
পরে চালক ও হেলপার বাস চালিয়ে কাঁচপুর সেতুর নিচে নিয়ে গেলে ওই ছাত্রী চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। সেই সঙ্গে গণধর্ষণের চেষ্টাকারী সোলেমান, গাড়িচালক হাবিবুর রহমান (৪২) ও হেলপার জয়কে (২৩) গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। একই সঙ্গে রজনীগন্ধা পরিবহনের বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী সোলেমান পটুয়াখালীর বাউফল থানার কামারপাড়া এলাকার লোকমান সরকারের ছেলে। সে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ এলাকায় থাকে। এ ঘটনায় বাসচালক ও হেলপারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাসটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিন শাহ পারভেজ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।