ফাইল ছবি
শরীরের প্রায় ৮০ ভাগ পুড়ে যাওয়া ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে এখনই সিঙ্গাপুরে পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তবে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছে এবং অবস্থা উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন সামন্ত লাল সেন। পরে তিনিসহ নুসরাতের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাক্তাররা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সামন্ত লাল বলেন, ‘তারা বলেছে, রোগীর যে কনডিশন, তাতে পাঁচ ঘণ্টা ফ্লাই করা সম্ভব নয়। তারা আমাদের কিছু সাজেশন দিয়েছে, কী কী করা লাগবে বলেছে। আমরা সেগুলো করছি। প্রতিদিন আমরা জানাব রিপোর্টেগুলো। অবস্থার উন্নতি হলে চিন্তা করব ট্রান্সফার করার।’
১৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের একটি চিকিৎসক দল ঢাকা আসবে। তখন তারা নুসরাতকে দেখে মতামত দিতে পারবে বলেও জানান সামন্ত লাল সেন।
এর আগে গতকাল সোমবার জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মাদ্রাসাছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।
গত শনিবার সকাল নয়টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার কেন্দ্র যায় ওই ছাত্রী। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে বোরকা পরিহিত চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।