অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আইরিন আক্তার বৃষ্টি (১৪)। মায়ের কাছে চেয়েছিলো বৈশাখী জামা। কিন্তু অভাব অনটনের কারণে জামা কিনে দিতে না পারায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সেই বৃষ্টি। মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃষ্টির তার বাবা আবেদ আলী ঢাকায় রিকশা চালান। চার ভাইবোনের মধ্যে আইরিন সবার ছোট।
জানা গেছে, উপজেলার বড়াইবাড়ি গ্রামের আবেদ আলীর কন্যা উলিপুর মহিলা কলেজিয়েট মহাবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আইরিন আক্তার বৃষ্টি (১৪) মঙ্গলবার সকালে মা সালমা বেগমের কাছে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী জামা চায়। কিন্তু সংসারের অভাব অনটনের কারণে মা তাকে জামা কেনার টাকা দিতে না পারায় ওই ছাত্রী অভিমান করে ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়।
পরে দুপুরে তাকে ডাকাডাকি করা হলে সে ঘরের দরজা না খোলায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। এ সময় স্বজনরা ঘরের দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃষ্টিকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফকরুল আলম বলেন, ওই ছাত্রীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রাথমিক অবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মনে হয়েছে এটি আত্মহত্যা। অন্য কিছু থাকলে পুলিশ তা তদন্ত করে বের করবেন।
উলিপুর থানার ওসি হোসেন জানান, ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ১০ এপ্রিল বুধবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।