ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। দেশটির নির্বাচন কমিশন লোকসভার ৫৪৩টি আসনের ভোট গ্রহণ করবে মোট ৭ দফায়। এর মধ্যে প্রথম দফায় আগামীকাল ১৮টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯১টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আগামী ১৯ মে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। ফল প্রকাশ করা হবে ২৩ মে।
এবারের নির্বাচনেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) মধ্যে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিজেপি ও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ ও তীব্র সমালোচনা শুরু থেকেই অব্যাহত ছিল। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী পরস্পরকে কঠোর আক্রমণ করে বক্তব্য দেন। এছাড়া নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেও পাল্টাপাল্টি হয়েছে।
এদিকে ভারতের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে যে আমেজ তৈরি হয়েছে তার প্রভাব পড়ছে পাকিস্তানেও। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইমরান বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে নরেন্দ্র মোদি জয়ী হয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলে কাশ্মীর নিয়ে একটা আলোচনার পথে আসা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, বিজেপি না এসে যদি ক্ষমতায় অন্য কোন দল আসে তাহলে কাশ্মীর সমস্যার কোনও সমাধান করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। বিষয়টি আরো স্পর্শকাতর হয়ে উঠবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার মতে, আফগানিস্তান, ভারত, ইরান, এই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান পাকিস্তান এবং পাক নাগরিকদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
অন্যদিকে, পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শহ মাহমুদ কুরেশি রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ভোটের আগে চলতি মাসেই পাকিস্তানে ফের একবার স্ট্রাইক চালাতে পারে ভারত। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু হবে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৩ মে।