মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে আবারও আরাকান আর্মির বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর দু’টি আর্টিলারি ঘাঁটিতে আরাকান আর্মির ওই হামলায় অন্তত ২০ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
রাখাইনের বুথিডংয়ে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন-সহ পুরো একটি স্কোয়াডের সব সদস্যকে হত্যার তিনদিন পর মঙ্গলবার আবারও হামলা চালালো আরাকান আর্মি। রাখাইনের ম্রাউক-ইউ শহরে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের এই সংগঠনের উপ-প্রধান।
আরাকান আর্মির উপপ্রধান ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল নিও তুন অং বলেন, মঙ্গলবার রাতে বিদ্রোহীরা ৩১ নম্বর পুলিশ রেজিমেন্টে আক্রমণ চালায়। এই রেজিমেন্ট থেকে ২২ নং লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের ও ম্রাউক-ইউ শহরের লে নাইয়িন তং সেনা ঘাঁটির সেনাসদস্যরা প্রত্যেকদিন গোলাবর্ষণ করে।
পরে লে নাইয়িন তং সেনা ঘাঁটি ও পুলিশ রেজিমেন্টে অতিরিক্ত সেনাসদস্য মোতায়েন করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেখানে যাওয়ার পথে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীরা সেনাসদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আরাকান আর্মির এই উপপ্রধান বলেছেন, লে নাইয়িন তং সেনা ঘাঁটির কাছে আরাকান আর্মির সদস্য সেনাবাহিনীর সাতটি স্পিড বোট জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সাতটি অ্যাসল্ট রাইফেল ও এমজি-৪২ মেশিন গান ছিনিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
জেনারেল নিও তুন অং বলেন, ম্রাউক-ইউ শহরের পার্বত্য অঞ্চলে গোলাবর্ষণের প্রধান ঘাঁটি ছিল পুলিশের এই রেজিমেন্ট। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত এবং বুধবার সকাল পর্যন্ত চলা লড়াইয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তিনটি যুদ্ধব্মিান ও দুটি বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে।
রাখাইনের অধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াইরত জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের এই সংগঠনের মুখপাত্র ইউ খিয়াইন থুখা বলেন, আরাকান আর্মি ওই দুটি আর্টিলারি ইউনিটের কিছু যুদ্ধবন্দীকে আটক করেছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে রাজি হননি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার-জেনারেল জ্য মিন তুন রাখাইনে মঙ্গলবার রাতে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কিছু সেনাসদস্যের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কতজন মারা গেছেন, সে ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো তথ্য দেননি তিনি। সূত্র : দ্য ইরাবতি।