বেন স্টোকসের ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে রাজস্থানের বিরুদ্ধে চার উইকেট বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচে ৪৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন ধোনি। অধিনায়ক হিসেবে এটি ধোনির ১০০ তম আইপিএল ম্যাচ জয়।
রাজস্থানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫২ রানে টার্গেট তাডা় করতে নেমে শেষ ওভারে চেন্নাইয়দের দরকার ছিল ১৮ রান। স্টোকসের ফাইনাল ওভারে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন জাদেজা। মাটিতে পড়ে গিয়ে প্রায় এক হাতেই স্টোকসকে মাঠের বাইরে তিনি। স্টোকস পরের বল 'নো' করলে দু’রান তুলে ফিল্ডিং দলের উপর চাপ বাড়ায় ধোনিরা। ফ্রি-হিটে ধোনি দু’রান নিলে, শেষ চার বলে প্রয়োজনীয় রান দাঁড়ায় ৮।
পরের বলেই পারফেক্ট ইয়র্কারে ধোনির উইকেট মাটিতে শুইয়ে দিয়ে রাজস্থানকে ম্যাচে ফিরিয়ে লড়াই জমিয়ে দেন স্টোকস। শেষ তিন বলে চেন্নাইয়ের টার্গেট তখন ৮রান। এরপরই থ্রিলার ম্যাচে নাটকীয় নো বল।
উচ্চতার কারণে বোলিং এন্ডের আম্পায়ার নো বল ডাকলেও সাইড আম্পয়ার 'নো কল' না করায় বিতর্ক শুরু হয়। নো-বল নিয়ে দুই আম্পায়ারের বিতর্কের মাঝে মাঠে নেমে পড়েন ধোনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ডেলিভারিটি কাউন্ট করা হলে, শেষ দুই বলে চেন্নাইয়ে টার্গেট কমে দাঁড়ায় ৬ রান। বিতর্কিত বলটিতে অবশ্য চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা দৌড়ে দু’রান নিয়ে নেন। পঞ্চম বলে দু’রান নিলে শেষ বলে প্রয়োজন হয় চার রান।
এরপরই চাপ সামলাতে না পেরে হোয়াইড করে এক রান খরচ করেন স্টোকস। আর স্টোকসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে চেন্নাইকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন স্যান্টনার। ৩ বলে ১০ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কিউয়ি স্পিনার স্যান্টনার। এর আগে অবশ্য চেন্নাইকে খাদের কিনারা থেকে তুলে মজবুত জায়গায় পৌঁছে দেন অধিনায়ক ধোনি।
১৫২ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থান পেসারদের সামনে ২৪ রানে প্রথম চার উইকেট উপহার দিয়ে আসে চেন্নাইয়ের টপ অর্ডার। ওয়াটসন ০, ডু প্লেসিস ৭, রায়না ৪ ও কেদার যাদব ১ রানে ফেরেন। সেখান থেকে রায়ডুকে সঙ্গী করে ৯৫ রানের পার্টনারশিপে জয়ের রাস্তা গড়েন ধোনি।
চাপের দিনে ৪৭ বলে ৫৭ রানের দামি ইনিংস খেলেন বিশ্বকাপে চার নম্বরের লড়াইয়ে থাকা রায়ডু আর ধোনির সংগ্রহ ৪৩ বলে ৪৮, জাদেজা ৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।