প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। শনিবার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য, কৃষি, নৌপরিবহন, পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং জনপ্রশাসন খাতে প্রশিক্ষণের বিষয়ে এ সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর পর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেল কক্ষে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত নৈশভোজে যোগদান করবেন লোটে শেরিং।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন রোববার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে সুরের ধারা আয়োজিত বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং সেখানকার পুনর্মিলনীতে যোগ দেবেন এবং ভাষণ প্রদান করবেন।
ওই দিন বিকালে রাজধানীতে ফেরার পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া সফরকালীন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক সচিবালয় ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস পরিদর্শন করবেন। তিন দিনের সফর শেষ করে ১৫ এপ্রিল তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছান লোটে শেরিং। ঢাকায় এসেই বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতি ও জাতীয় সৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। বিকালে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক মতবিনিময় করেন তিনি। প্রসঙ্গত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অষ্টাদশ ব্যাচের ছাত্র লোটে শেরিং এমবিবিএস পাস করার পর বাংলাদেশেই সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। দেশে ফিরে যোগ দেন চিকিৎসকের পেশায়।
সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৩ সালে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই তার দল ডিএনটি চমক সৃষ্টি করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডিএনটি জয়ী হলে ডা. শেরিং হন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।