বিশ্বকাপের স্বপ্নের ১৫ ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে কারা এগিয়ে থাকবেন? ব্যাটসম্যানদের ক্যাটাগরিতে সম্ভাবনায় আছেন ১১ জন। যাদের মধ্যে অভিজ্ঞদের জায়গা পাকা, অনিশ্চয়তায় ওপেনিং ও সাত নম্বর পজিশন।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে এবারের বিশ্বকাপ মাতাতে পারেন যারা…
২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ধরলে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিয়ে এবার ইংল্যান্ডে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে টানা চতুর্থ বিশ্ব আসর হতে যাচ্ছে তামিম ইকবাল মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের। আস্থার আরেক নাম মাহমুদুল্লাহও।
তবে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী নিয়ে আফসোস এখনো ফুরোয়নি। ওই পজিশনের লড়াইয়ে আছেন চারজন। ২০১৮ সালের জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উজ্জ্বল ইমরুল কায়েস। ২ সেঞ্চুরিতে ৮ ম্যাচে ৪৩৬ রান। গড় ৬২। তবুও প্রশ্নবিদ্ধ এশিয়ার বাইরে ইমরুলের সামর্থ্য। যদিও ইংল্যান্ডের পরিসংখ্যান বেশ ভালো ইমরুলের। ওয়ানডেতে একটা সেঞ্চুরিও আছে সেখানে।
ইংল্যান্ডের মাটিতে কখনো ওয়ানডে খেলেননি লিটন দাস ও এনামুল বিজয়। তিন বছর পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এনামুল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও উইন্ডিজ সফরে। ৭ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৮৮ রান।
এশিয়া কাপে ১২১ রানের ইনিংসটা বাদ দিলে লিটন দাসও খুব একটা উজ্জ্বল নন। বাকী ১৪ ইনিংসে লিটনের রান মাত্র ২২২।
অন্যদিকে চড়াই উতরাই এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সৌম্য সরকারও। তবে শেষ কয়েক ইনিংসে ফর্মে ফেরার প্রত্যয় দেখিয়েছেন। এই চারের মধ্যে জায়গা হবে দুজনের।
নিউজিল্যন্ডে সবশেষ সাত নম্বরে খেলেছেন সাব্বির রহমান। ছয় বছরের ক্যারিয়ারে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সেখানেই। শেষ দশ ইনিংসে সাব্বিরের পঞ্চাশ পেরুনো একমাত্র ইনিংসও সেটা।
ওই পজিশনের জন্য বিবেচনায় থাকা মোসাদ্দেক হোসেন চলমান প্রিমিয়ার লিগে উজ্জ্বল তবে বড় মঞ্চে পারফর্ম করার সামর্থ্য হবে ফ্যাক্টর।
ওই দুই পজিশনের মত দুশ্চিন্তায় নেই মোহাম্মদ মিঠুন। মিডল অর্ডারে অনেকটাই প্রতিদ্বন্দিতাহীন। এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফর। তেত্রিশের উপরে গড় নিয়ে সবখানেই উজ্জ্বল কুষ্টিয়ার এই ব্যাটসম্যান।
পুরনোদের সমাহারে মোসাদ্দেক ও লিটন কিছুটা আলাদা। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন আঁকছেন দুজন, তবে সবার ভাগ্যই নির্বাচকদের হাতে।