বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় দুর্ভাগার নাম ইমরুল কায়েস! অন্যদের মতো আরামসে জাতীয় দলে সুযোগ পান না তিনি। থাকেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। আরো একবার বঞ্চিত হলেন বাঁহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
গেল মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাতে ঠাঁই মেলেনি ইমরুলের। আরেকবার ভাগ্য তার সঙ্গে প্রবঞ্চনা করল। এরপর থেকেই গুঞ্জন, তবে কি রাগে-ক্ষোভে ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দেবেন তিনি। ইতি টানবেন প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের।
না, এখনই হাল ছাড়ছেন না ইমরুল। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন এক বার্তা দিয়েছেন তিনি। এদিন সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভক্তের আঁকা একটি ছবি পোস্ট করেছেন ৩২ বছর বয়সী ক্রিকেটার।
ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আমি একটা জিনিস কয়দিন যাবৎ লক্ষ্য করছি, আমাকে নিয়ে অনেকে পোস্ট করছেন আমি নাকি ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি! এটা সত্যি আমার জন্য অনেক দুঃখজনক এই খবর গুলো। আমার ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আমি সব সময় দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করছি! কখনও আল্লাহর রহমতে সফল হইছি আবার ব্যর্থও হইছি। তবে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটে ১%ও কিছু দিতে পেরে থাকি, তো আমি নিজেকে স্বার্থক মনে করি। ক্রিকেট আমার ভালোবাসা, আমি বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছি তার মানে এই না যে ক্রিকেট ছেড়ে দিবো। আমার সামনে যখনই সুযোগ আসবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দেওয়ার আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। সবাই আমার পাশে থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার সকল ভক্ত ও হেটার্সদের!!
বিশ্বকাপের গেল দুই আসরে (২০১১ ও ২০১৫) বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন ইমরুল। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও ছিলেন। প্রতিবারই কারো বদলি হিসেবে যেতে হয়েছে। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে এনামুল হক বিজয়ের বদলি হিসেবে খেলেন তিনি। ২০১৮ এশিয়া কাপেও পরিবর্তন এনে তাকে দলে নেয়া হয়। বরাবর নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেও অপ্রত্যাশিতভাবে বাইরে ছিটকে যেতে হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে চার নম্বরে থেকেও আসন্ন বৈশ্বিক আসরের স্কোয়াডে জায়গা হলো না তার।
লাল-সবুজ জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৭৮টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ইমরুল। ৩২.০২ গড়ে ৪ সেঞ্চুরি এবং ১৬ ফিফটিতে করেছেন ২ হাজার ৪৩৪ রান। স্ট্রাইক রেট ৭১.১০।