প্রতীকি ছবি
ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মানিকগঞ্জে এক গৃহবধূকে চার বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলো আলী হোসেন নামে এক যুবক। ওই নারীকে বাধ্য করা হতো অন্য ছেলেদের সাথে শারীরিক সম্পর্কেও।
এখানেই শেষ নয় ওই লম্পর্টের দৃষ্টি পড়ে ওই গৃহবধূর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের ওপর। তাকেও ধর্ষণের ফাঁদ পাতে। এরপরই ঘটনা ফাঁস হয়।
এঘটনায় মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী। এরপর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত আলী হোসেন। তার বাবা ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য।
ওই গৃহবধূ জানান, তার স্বামী ৫ বছর আগে মালয়েশিয়া গেছেন। এই সুযোগে প্রতিবেশি আলী হোসেন প্রথমে তাকে উত্যক্ত করতো। মোবাইলে কথাবার্তা হওয়ার এক পর্যায়ে তাদের মাঝে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একদিন ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে আলী হোসেন তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। সে সময় ভিডিও চিত্র ধারণ করে আলী হোসেন। তারপর কথা না শুনলে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দেয়।
এই ভয় দেখিয়েই চার বছর ধরে ধর্ষণ করছে সে। শুধু তাই নয়,আলী হোসেনের দুই দোকান কর্মচারীসহ অন্য ছেলেদের সাথেও শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হতো তাকে।
গৃহবধূ বলেন, আলী হোসেন বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ৮ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা চাইলেই সে ভিডিওর ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে আলী হোসেন তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের দিকে নজর দেয়।
শর্ত দেয় মেয়েকে কাছে পেলেই কেবল ঋণের টাকা পরিশোধ করবে। বাধ্য হয়ে সোমবার দুপুরে আলী হোসেনের কথা মতো মেয়েকে সাথে নিয়ে ওই নারী মানিকগঞ্জ শহরের সেওতা এলাকায় মনিকা বেগমের বাসায় আসে।
বাইরের লোকের আনাগোনা থাকায় বাসাটি আশপাশের সবার নজরে ছিলো অনেক দিন ধরেই। তিনতলা ভবনের চিলে কোঠার একটি রুমে আলী হোসেন গৃহবধূর মেয়েকে ডেকে নিলে প্রতিবেশিদের সন্দেহ হয়।
পরে তারা এগিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ঘটনা জানাজানি হয়। এসময় আলী হোসেন নিজের স্মার্টফোন রেখে সটকে পড়েন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত)মোঃ হানিফ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে আলী হোসেন ও বাড়ির মালিক মনিকা বেগমের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার জেলা সদর হাসপাতালে ভিকটেমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।