পুরো নাম সেফাতুল্লা হলেও ‘সেফুদা’ নামে তিনি বেশ পরিচিত। বিশেষ করে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নানা বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে আসেন এই প্রবাসী বাংলাদেশি।
তেমনই বরাবরের মতো বুধবারের নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে আসেন সেফাতুল্লা।
সেখানে কথা বলেন সাফা কবিরের ইস্যুতে। লাইভে তিনি সাফা কবিরের বিপক্ষে কথা বলেছেন এমন, বিশেষ করে মুসলমানদের গালি গালাজ করেন।
লাইভ চলাকালীন এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআনকে ছিঁড়ে পেলেন এবং তা টয়লেটে নিক্ষেপ করেন।
এছাড়া সেফাতুল্লাকে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনাকে অশ্রবণীয় ভাষায় গালি দিয়ে শোনা যায়।
সেফাতুল্লা তার লাইভ শেষে বলেন, তোরা যদি আবার সাফাকে গালি দিস তবে একই কাজ আবার করবো।
বর্তমান ফুটবলের আলোচনার শীর্ষে মোহাম্মদ সালাহ। বিশ্ব ফুটবলের এ উজ্জল নক্ষত্র বর্তমানে ইনজুরিতে পরে আবারো আলোচনায় এসেছেনে।
চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে সার্জিও রামোসের বাজে ট্যাকলে আঘাত পেয়ে এখন তার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বিবিসির এক সংবাদে জানা যায়, সালাহ একজন নিবেদিত মুসলিম। তাই ধর্মচর্চায় কোনো রাখঢাক করেন না। নানা ধরনের ধর্মীয় আচার পালন করতে দেখা যায় তাকে। মাঠে হরহামেশা এর প্রমাণ মেলে।
সালাহ একজন মুসলাম এবং তিনি নিয়মিত কুরআন পড়েন। এটাই তার নিত্য নৈমিত্যিক অভ্যাস। সালাহ মুসলমান এটা জানলেও হয়ত এ তথ্যটা আপনার জানা ছিল না।
প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েই মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেজদাহে অবনত হন, দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন।খেলা শুরুর আগেও দোয়া করেন। যেখানে যান সঙ্গে রাখেন পবিত্র কোরআন।
সেটি কোনো বিমান ভ্রমণ বা যাতায়াত বা অন্য কাজের ফাঁকেই হোক। কিছু দিন আগে সালাহ জানান, আমার শরীরে কোনো ট্যাটুর চিহ্ন নেই। আমি কখনও হেয়ারস্টাইল পরিবর্তন করি না। আমি জানিও না কীভাবে নাচতে হয়।
এরই মধ্যে ম্যাচ খেলতে বিমানে ভ্রমণকালে সালাহর কোরআন পড়ার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে কোনো জায়গায় যাওয়ার সময় তার হাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থটির ছবিও। চাউর হয়েছে, অবসর পেলেই কোরআন পড়েন তিনি।
এভাবেই খেলা চালিয়ে যেতে চাই। অবশ্য এসব তথ্য আগেই ফাঁস হয়। তবু সেসব নিয়ে বিশ্ব ফুটবলপাড়ায় আলোচনা এখন তুঙ্গে।