বিদেশি নাগরিক হিসেবে তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে নানাবিধ সমালোচনার মুখে বাংলাদেশে ফিরতে হয়েছে নায়ক ফেরদৌসকে। এবার ফেরদৌসের সমালোচনায় সুর মেলালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে কলকাতা থেকে প্রায় চারশো কিলোমিটার দূরের বুনিয়াদপুরের নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি বলেন, তৃণমূলের কতটা খারাপ অবস্থা সেটা বিদেশিদের নিয়ে এসে নির্বাচনে প্রচার চালানোর ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়েছে। তারা বিদেশিদের ডেকে এনে প্রচার চালাচ্ছেন। ভারতের ইতিহাসে বিদেশিদের নিয়ে প্রচারের নজির ছিল না। এটা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কের জন্য যে কোনো কাজ করতে পারেন মমতা।
মোদী এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। বলেন, দিদির স্বপ্নে স্পিড বেকার পড়ে গিয়েছে। বাংলার মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। রাজ্যের উন্নয়ন নেই। যুবকরা চাকরি পাচ্ছেন না। সন্ত্রাস চলছে। তৃণমূল চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে। এই সরকার থেকে মুক্তির জন্য এখন বিজেপিকে ভোট দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
মোদি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ভাইপো অভিষেককেও এক হাত নিয়েছেন। মোদি বলেন, পিসি ভাইপো মিলে বাংলার সর্বনাশ করছেন।
বুনিয়াদপুরের সভায় বেশ কিছু সময় বাংলা ভাষণ দেন মোদি। বলেন, এই বৈশাখের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ এই সভায় এসেছেন। বিজেপির প্রচারে মানুষ অংশ নিচ্ছেন। দ্বিতীয় দফার ভোটে বাংলার সাধারণ মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য যেভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেটা গোটা দেশের দৃষ্টান্ত বলেও মনে করেন মোদি।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, গোটা দেশ বলছে পশ্চিমবঙ্গে নতুন কিছু হতে চলেছে। বাংলায় বিজেপির সমর্থনের ঢেউ বইছে। বিজেপির জনসমর্থন দেখে দিদির ঘুমে স্পিড বেকার পড়ে গিয়ছে।
মোদি বলেন, এখানে নারদা-সারদা-রোজভ্যালির বিচার হবে। আমাদের নেতা-কর্মীর ওপর অত্যাচারের বিচার করা হবে।