নিজের স্বাক্ষর জালের আশঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বুধবার দুপুরে এরশাদ তার ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে রাজধানীর বনানী থানায় এই সাধারণ ডায়েরি করেন।
দুপুর ২টার দিকে বিরোধীদলীয় নেতার প্রটোকল অফিসার এসআই বাবুল, কনস্টেবল লিজন ও আনসার সদস্য হুমায়ুন এবং তার এক ব্যক্তিগত সহকারী বনানী থানায় জিডি নিয়ে যান। থানায় জিডিটি লিপিবদ্ধ করেন ডিউটি অফিসার। বনানী থানায় জিডি নাম্বার ১৫০২।
এরশাদ সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন, অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তার স্বাক্ষর নকল করে পার্টির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলের বিভিন্ন পদ-পদবি বাগিয়ে নেওয়া, ব্যাংক হিসাব জালিয়াতি এবং পারিবারিক সম্পদহানির হুমকি রয়েছে। এ অবস্থায় কেউ যেন এমন অপরাধ করতে না পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দরকার। জিডিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের দ্বারা ক্ষতির শিকার হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
থানায় ডায়েরি করার সময় এরশাদের নিরাপত্তাকর্মী মো. বাদশা ছিলেন। তিনি বলেন, স্যারের হাতের সই এলোমেলো হয়ে গেছে। যেকোনো লোক নকল করতে পারে। সে জন্য জিডি করে রাখলেন।
জানতে চাইলে বনানী থানার জিডি তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই শায়হান ওয়ালীউল্লাহ বলেন, ‘এরশাদ সাহেব জিডিতে তার অভিযোগ উল্লেখ করেছেন আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
এসব তথ্য নিশ্চিত করে বনানী থানার ডিউটি অফিসার এস আই মিঠুন সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেভাবে জিডি গ্রহণ করি সেভাবেই জিডি গ্রহণ করা হয়েছে।’
ডিউটিরত এই অফিসার আরো বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের জিডির বিষয়টি আমাদের থানা কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখবেন। তিনি জিডিতে বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থানা কর্তৃপক্ষ আলোচনা করবে এবং দায়িত্ব নিয়ে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।’
সম্প্রতি ছোট ভাই জি এম কাদেরকে দলের ‘উত্তরাধিকার’ করে নিজের সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দেওয়ার ঘোষণা দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। এ সংক্রান্ত পাঁচ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। বোর্ড সদস্যদের মধ্যে আছেন এইচ এম এরশাদ, তার ছেলে এরিক এরশাদ, ব্যক্তিগত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আত্মীয় মুকুল এবং ব্যক্তিগত কর্মী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তবে ট্রাস্টি বোর্ডে নিজের স্ত্রী রওশন এরশাদকে অন্তর্ভুক্ত করেননি এরশাদ।