পাবনার চাটমোহর উপজোর মূলগ্রাম ইউনিয়নে সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
শিশুটি বর্তমানে অচেতন অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবক সবুজ পলাতক রয়েছেন।
চাটমোহর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।শিশুটি বাড়ির পাশের একটি ঘরে সে একা বসে টেলিভিশন দেখছিল। এ সময় প্রতিবেশী সবুজ এসে তাকে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
তাপস কুমার পাল বলেন, ‘আমরা খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোঁজ-খবর নিই এবং ধর্ষককে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার জীবনে এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন আমি দেখি নাই। যে ব্যক্তি আমার মেয়ের এই অবস্থা করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ বলেই তিনি কান্না শুরু করেন।
অন্যদিকে, শিশুটির বাবা কোনো কথাই বলতে পারেননি। তিনি মাথায় হাত দিয়ে হাসপাতালের করিডরে বসে শুধু চোখের পানি ফেলছেন।
শিশুটির চাচা বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর পরই আমার ভাতিজিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। কী হবে বুঝতে পারছি না। মেয়েটি এখনো অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বিছানায়। শুনেছি অপারেশন করে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমরা দিনমজুর মানুষ। সুষ্ঠু বিচার পাব কি না সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে এমন পাশবিক নির্যাতনের অবশ্যই বিচার হওয়া দরকার। আমার ভাতিজির মতো অন্য কোনো মেয়ের জীবনে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, প্রশাসনের অবশ্যই সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।’
শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম রুবেল বলেন, ‘মেয়েটি দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তির পর পরই আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি টিম গঠন করে অপারেশন করা হয়। সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। মেয়েটি অচেতন অবস্থায় আছে, পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।’
এদিকে,পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেলের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট শামিমা নাসরিন সোনিয়া বলেন, ‘মেয়েটি ভর্তির পর থেকেই আমরা তার পাশে আছি।’
আর্থিকসহ আইনি সব সহায়তা তাকে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।