জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন প্রেমিকা। প্রেমিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় মামলাটি করে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রী কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। ধর্ষক প্রেমিক একই গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে পরিচয়। ঘনঘন তাদের বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করার একপর্যায়ে তার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর দু-একদিন তার সঙ্গে কথাবার্তা ও দেখা হয়। ১৩ এপ্রিল বিকেলে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখার সময়ে আসামি সাদ্দাম হোসেন ইশারায় ডাক দেন। এরপর সে সেখানে যায়। তখন সাদ্দাম হোসেন কৌশলে তাকে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ওই সময় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল বলে এজাহারে আরো উল্লেখ করেছে ওই ছাত্রী।
লোকলজ্জার ভয়ে ওই ছাত্রী প্রথমে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। পরবর্তীতে ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মা রাবেয়া বেগমকে ঘটনাটি জানায় সে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশ ডাকা হলেও ধর্ষক সাদ্দাম হোসেন সেখানে উপস্থিত হননি।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলার পর ধর্ষক প্রেমিক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।