কয়েকটি মামলায় দণ্ড নিয়ে লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চান বলে আভাস দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দণ্ডিত তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে বাংলাদেশের আবেদনের প্রায় তিন সপ্তাহের মাথায় এই আভাস এল বিএনপি মহাসচিবের।
সোমবার দুপুরে এক সভায় ফখরুল বলেন, “‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় প্রায় এক যুগের উপরে নির্বাসিত হয়ে আছেন।
“প্রতি মুহূর্তে তিনি দেশের কথা চিন্তা করছেন, দলের কথা চিন্তা করছেন। তিনি ভাবছেন কীভাবে দেশে ফিরে আসা যায়।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ফোরামের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই সভা হয়।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার তারেক পরের বছর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে যান। তারপর প্রায় এক যুগ ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করছেন তিনি।
লন্ডনে থেকেই বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের পদ থেকে জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন তিনি।
তারেকের অনুপস্থিতিতেই মুদ্রা পাচার ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত ও ১০ বছরের সাজার রায় দেয় আদালত। এছাড়া ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত তিনি।
এসব সাজা কার্যকর করতে তারেককে দেশে ফেরাতে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
আওয়ামী লীগ নেতারা তারেককে দেশে ফিরে মামলা মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এর পাল্টায় বিএনপি নেতারা বলছেন, সুস্থ হলেই দেশে ফিরবেন তারেক।