দেশের দুই মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু ও কর্ণফুলী টানেলকে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১ মে) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শ্রমিক দলের র্যালি উদ্বোধনের সময় দেওয়া বক্তব্যে এই দুই মেগা প্রকল্পকে অপ্রয়োজনীয় বলেন তিনি। মহান মে দিবস উপলক্ষে এ র্যালি আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের সমস্ত শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, মেহনতি জনতা তাদের অধিকার হারিয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ সরকার আমাদের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মানুষের পকেট কেটে নিয়ে দুর্নীতি করছে, সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের টাকা ট্যাক্স হিসেবে কেটে নেওয়া হয় এবং সেই টাকা দিয়ে তারা দুর্নীতির পদ্মাসেতু নির্মাণ করে, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করে—যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।’
মে দিবসকে অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার এক দিকে আমাদের ভোটের অধিকার লুট করেছে। অন্যদিকে, আমাদের ভাতের অধিকার লুট করছে। শুধু গণতন্ত্র নয়, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও আমাদের বেঁচে থাকার জন্য, অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জনগণের ঐক্য, শ্রমিক জনতার ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।’
সরকার দুর্নীতিকে বৈধ করার জন্য সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন শ্রমিকদের মর্যাদা নেই, ন্যায্য মজুরি নেই, শ্রমিকেরা জীবনযাপন করেন একেবারে মানবেতর অবস্থায়। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, চালের দাম বাড়ছে, তেলের দাম বাড়ছে, বাসা ভাড়া ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা শেয়ার মার্কেট লুট করছে, ব্যাংক লুট করছে, মেগা প্রোজেক্টের নামে মেগা লুট করছে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, শ্রমজীবী মানুষকে। তাই আজকে আপনারা যারা মে দিবস পালন করছেন, আপনাদেরকে অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি সবচেয়ে বেশি আয় করে। তাদের আয়ে বাংলাদেশ চলে। যারা বিদেশে কাজ করেন, তাদের রেমিটেন্সে বাংলাদেশ টিকে আছে। তাদের টাকাগুলোকে সরকার নষ্ট করে, অপচয় করে।’
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিমসহ অন্যরা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে বের হয় শ্রমিক দলের র্যালি। এটি শান্তিনগর ঘুরে ফের নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। র্যালিতে কয়েক হাজার লোক অংশ নেন।