আবারো পরিবর্তন আনা হয়েছে বাংলাদেশের জার্সির নকশায়। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টাইগারদের জার্সির নকশা ঠিক করা হলো আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর জন্য।
গত ২৯ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি। কিন্তু মূল জার্সিতে শুধু সবুজ রং এবং বিকল্প জার্সিতে শুধু লাল রং দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সমর্থকরা। ফলে পরের দিনই জার্সির নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি মূলত দেশের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রেখে লাল ও সবুজ রঙের মিশ্রণে করা হয়ে থাকে। কিন্তু আসন্ন বিশ্বকাপের জার্সিতে লালের উপস্থিতি ছিল না। সবুজের সাথে সাদা রঙে লেখা হয়েছিল দলের নাম, খেলোয়াড়ের নাম ও জার্সি নাম্বার।
কিন্তু আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর জন্য উন্মোচিত বাংলাদেশের প্রথম জার্সিটিতে ছিল না লাল রঙের ছোঁয়া। তাই স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল ভক্ত-সমর্থকরা। সোমবার রাতেই জার্সির নকশা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জানান নাজমুল হাসান পাপন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকার ছিল বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ক্রিকেটার, বোর্ড কর্মকর্তা ও কোচিং স্টাফদের। জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পরেই জার্সি পরিবর্তনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নকশাও আবার পরিবর্তিত হলো।
৩০ এপ্রিল বিকালে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান জানিয়েছেন পরিবর্তন হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপের জার্সি। নতুন জার্সির নকশাতে বরাবরের মতোই জাতীয় পতাকার সাথে মিল রেখে আনা হয়েছিল লাল ও সবুজ রঙের মিশ্রণ।
জার্সির বুক বরাবর যেখানে বাংলাদেশ লেখা থাকবে সেখানে লাল রং রাখা হবে। তার ওপরে সাদা রঙে লেখা হবে দেশের নাম। তাছাড়া দুই হাতাও করা হয়েছিল লাল রঙের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পন্সর লাইফবয়ের লোগোর রং লাল। আইসিসি ইভেন্টে স্পন্সরের লোগো রাখার নিয়ম জার্সির হাতে। বাংলাদেশের জার্সির হাতে লাল হওয়ায় লোগোর সাথে মিলে যাচ্ছিল সেটি। তাই হাতের পুরোটা না দিয়ে আংশিকটা লাল করা হয়েছে।
বিকল্প জার্সি যেটির মূল রং লালা এবং বুকে ও হাতে সবুজ ছিল সেটাতেও হাতে আংশিক সবুজ দেয়া হয়েছে। সেই সবুজ অংশের ওপরে থাকবে স্পন্সরের লোগো।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সির স্বত্ব কিনে নিয়েছে স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের অধীনেই বিক্রি করা হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি, আলোচিত জার্সির ডিজাইনও করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।