মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাল্যবিয়ের অভিযোগ ওঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালালে বাসররাতেই ‘কিশোরীবধূ’কে ফেলে পালিয়েছেন আব্দুর রহমান নামের ওই ইউপি সদস্য। বাল্যবিয়ের অপরাধে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার।
অভিযুক্ত আবদুর রহমান শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৭নং রাজঘাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। তার আরও দুই স্ত্রী রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল শহরতলীর শাহীবাগের রেললাইন এলাকার ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে শুক্রবার (৩ মে) বিয়ে করেন ইউপি সদস্য আবদুর রহমান। পরে ওই কিশোরীকে তার বাবার বাড়ির পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে তুলেন।
স্থানীয় লোকজন বাল্যবিয়ের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক সুদীপ দাশকে ঘটনাস্থল পাঠানো হয়। ওই কর্মকর্তার উপস্থিতির টের পেয়ে ইউপি সদস্য রাতেই নববধূকে ফেলে পালিয়ে যান। তদন্তে বাল্যবিয়ের সত্যতাও পান সুদীপ দাশ।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহেদা আকতার বলেন, বাল্যবিয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ে রোধে সরকার সচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাল্যবিয়ের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ের ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে মামলা রেকর্ড করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।