জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে এই তিনটি বিষয় নিয়ে নাকি মানুষের জীবন। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হয়েছে। বিশেষ করে মানুষের জীবনধারার সমস্তটাই যেন পরিবর্তিত হয়েছে। এখন একজন পুরুষ বিয়ে করার আগে অবশ্যই তার ক্যারিয়ারটি গুছিয়ে নিতে আগ্রহী হন। কেননা ক্যারিয়ার আগে ঠিক না করলে পরবর্তীতে বিপদে পড়তে হয়।
যারা সচেতন পুরুষ তারা তাদের এবং আসন্ন প্রজন্মের ভবিষ্যত ঠিক করে তারপরে বিয়ে করেন। এমন ক্ষেত্রে একজন পুরুষ ঠিক কীভাবে বুঝবেন যে এই সময়টিই তার বিয়ের জন্য উপযুক্ত? কিংবা কখন আগ্রসর হবেন বিয়ে করার জন্য? কিংবা কখন বিয়ে করলে সুখী হবেন তার জীবনে? আসুন, জেনে নেই এমন কিছু মাপকাঠি যেগুলোর ভিত্তিতে একজন পুরুষ নিশ্চিত হতে পারবেন যে এটাই বিবাহের উপযুক্ত সময়।
১. ক্যারিয়ার গুছিয়ে ফেললে :আমাদের জীবনের সব কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে জীবনটা অনেক সাজানো গোছানো হয়ে থাকে। একজন সচেতন পুরুষের ক্যারিয়ার বেশ আগেই তৈরি হয়ে যায়। আপনি যদি একজন সচেতন পুরুষ হয়ে থাকেন এবং আপনার ক্যারিয়ার যদি পুরোপুরি তৈরি হয়ে যায় তাহলে ভাববেন এখন আপনি চাইলে বিয়ে করতে পারেন।
২. আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হলে :আপনি যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে থাকেন তাহলে ভাববেন আপনার বিয়ের সময় উপস্থিত। এমনিতেই একটি বিয়ের অনেক ধরনের খরচ রয়েছে। মেয়ে পক্ষ ছেলে পক্ষ উভয়েরই। এই খরচ বহন করার মত সামর্থ্য যদি আপনার এসে থাকে তাহলে আপনি বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলতে পারেন।
৩. মনের মত নারী খুঁজে পেলে :আপনি যদি আপনার মনের মত মেয়ে খুঁজে পান তাহলে আপনি বিয়ে করার প্রস্তুতি নিতে পারেন। আজকাল এই ধরনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায় যে বিয়ে করতে চাইছেন ঠিকই কিন্তু ঠিক মনের মত মেয়ে খুঁজে পান না। আপনার ক্যারিয়ার দাঁড়িয়ে যাওয়া মাত্র আপনি আপনার আশেপাশে বা পরিবার পরিজন দিয়ে মেয়ে খোঁজার কাজে লেগে যান। অবশেষে যদি রুপে, গুণে এবং কাজে পছন্দের মেয়েটি পেয়ে যান তাহলে ধরে নিন আপনার এখনি বিয়ে করা উচিৎ।
৪. সিরিয়ালে যদি আপনি থাকেন :বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভাইবোনের সিরিয়াল অনুযায়ী বিয়ে হয়ে থাকে। ধরুন আপনি আপনার ক্যারিয়ার ঠিক করে ফেলেছেন এবং আপনি পছন্দের মেয়েও খুঁজে পেয়েছেন কিন্তু আপনার একজন বড় ভাই বা বোন রয়েছেন যার এখনও বিয়ে হয় নি। এক্ষত্রে আপনার বিয়ের ঠিক সময়টি এখনও আসেনি। কেননা সমাজের দৃষ্টি এড়াতে আপনি এই কাজটি এখনই করতে পারবেন না। কিন্তু আপনার আগে যদি কোনো ভাইবোনের সিরিয়াল না থাকে তাহলে আপনি আপনার বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারেন। কেননা আপনার বিয়ের সিরিয়ালটা ঠিক তৈরি হয়েই আছে।
৫. মা বাবার বয়স হয়ে গেলে :যদিও আগে পুরুষরা বিয়েই করতেন বুড়ো মা বাবাকে দেখাশোনার জন্য। বর্তমানে এই ধারণা কিছুটা পরিবর্তিত হলেও পুরুষরা বাবা মায়ের সাথে সঙ্গ দেয়ার জন্যই বিয়ে করে থাকেন। তাছাড়া এমনও যদি হয়ে থাকে যে বাবা মায়ের অনেক বয়স হয়েছে, তারা অনেক অসুস্থ। পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওযার আগে নাতি-নাতনীর মুখ দেখে যেতে চান। তাহলে একজন পুরুষ ভাবতে পারেন যে এখন বিয়ে করা যেতে পারে।
৬. সন্তান পরিকল্পনা :এমন অনেক পুরুষই রয়েছেন যারা ক্যারিয়ার গুছিয়ে ফেলতে ফেলতে বেশ দেরি করে ফেলেন। এসব পুরুষরা বিয়ের পরপরই সন্তান নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা থাকলে বিয়ে করার সময় হয়েছে বলে মনে করতে পারেন।
৭. ভবিষ্যত পরিকল্পনা :কথায় আছে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ। যে সমস্ত পুরুষেরা ভবিষ্যতের ইঞ্চি ইঞ্চি পরিকল্পনা করে রেখেছেন তাদের জন্য বিয়ের সময় হয়েছে বলে মনে করতে পারেন। ভবিষ্যতের অন্যান্য পরিকল্পনা শেষ এখন বাঁকি বিয়ে করা। তাহলে চটজলদি করে ফেলতে পারেন বিয়েটি।
৮. সঙ্গ প্রয়োজনে :মানুষ একা থাকতে পারে না। এ কারণে আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনার জীবনের সব ধরনের পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত করে ফেলেছেন কিন্তু একা জীবনে বেশ বিষণ্ণতায় কাটছে আপনার সময় তাহলে ভেবে নিন আপনার এখন বিয়ে করা প্রয়োজন। একাকীত্ব দূরীকরণে করে ফেলতে পারেন বিয়ে।