একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শপথ গ্রহণের পর্ব শেষ। নান সমীকরণের মাঝে এরই মধ্যে শপথ নিয়ে সংসদে যোগদান করেছেন বিএনপির পাঁচ প্রার্থী। এখন আলোচনায় বিএনপি থেকে কে হচ্ছেন সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য। আগামী জুনে বাজেট অধিবেশনের আগেই নির্বাচিত করতে হবে সেই প্রার্থীকে।
সংসদে যোগদান করে দলের পক্ষে দাবিও তুলে ধরেছেন। আগামী অধিবেশনে পূর্ণাঙ্গ সংসদীয় দল নিয়ে সংসদে যোগদান করবে বিএনপি। সেক্ষেত্রে তারা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব একজন নারী প্রার্থী চূড়ান্ত করার।
নিজেদের মধ্যে আলোচনাও শুরু করেছেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য। মূলত তারা যাকে নির্বাচিত করবেন, তিনিই হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিএনপির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য।
জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনে সরাসরি ভোটে নির্বাচিতরা প্রতিনিধিত্ব করেন। আর সেই এমপিদের ভোটে নির্বাচিত হন সংরক্ষিত ৫০ জন সদস্য। এখানে আনুপাতিক হারে যে দল বা জোট যতটি আসনে বিজয়ী হবে সেই দল বা জোট ততটি সংরক্ষিত আসন পাবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৫৭টি আসন। তাই তাদের সংরক্ষিত আসন ৪৩টি। আর আনুপাতিক হারে জাতীয় পার্টির চারটি, ওয়াকার্স পার্টির একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আনুপাতিক হারে একটি। অন্যদিকে বিএনপি পাচ্ছে সংরক্ষিত আসনে একজন সংসদ সদস্য।
বিএনপির কে সংরক্ষিত আসনের এমপি হচ্ছেন এই নিয়ে কথা হয় বিএনপির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই চূড়ান্ত করা হবে প্রতিনিধি। তবে যেহেতু এমপিদের এখতিয়ার, তাই আলোচনায় সবার আগে উঠে এসেছে নবম সংসদে আলোচিত নারী সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। যিনি বর্তমান সংসদে বিএনপির সংসদীয় গ্রুপের নেতা হারুনুর রশিদের স্ত্রী।
তার স্ত্রী পাপিয়া সংসদ সদস্য হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘যেহেতু ও এর আগে এমপি ছিল, তাই ওর কিছু ভক্ত অনুসারী চাইছেন। তবে যাই হোক দলীয় সিদ্ধান্তেই হবে। আর পাপিয়া যেহেতু অভিজ্ঞ, তাই আলোচনায় থাকতেই পারে।’