শব-ই কদরের পরের দিন ছুটি ঘোষণা হলে এবারের রোজার ঈদে টানা নয় দিনের ছুটি মিলে যেতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের।
ঈদুল ফিতর মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছর ঈদের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রেল, সড়ক ও নৌপথে রাজধানী ছাড়ে অসংখ্য মানুষ।
এবার রমজান মাস ২৯ দিন হলে ঈদ হবে ৫ জুন বুধবার। রমজান ৩০ দিনে শেষ হলে ঈদ হবে ৬ জুন বৃহস্পতিবার। ঈদ যেদিনই হোক এবার ঈদের ছুটি শুরু হবে ৪ জুন। ৫ জুন ঈদ হলে ছুটি থাকবে ৪, ৫ ও ৬ জুন অর্থাৎ মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতি। এরপর শুক্র ও শনিবার (৭ ও ৮ জুন) দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি।
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে ২ জুন রোববার লাইলাতুল কদরের ছুটি। কদরের ছুটির আগে ৩১ মে ও ১ জুন (শুক্র ও শনিবার) দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। ৩১ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত ৯ দিনের মধ্যে শুধু ৩ জুন সোমবার অফিস খোলা।
ঈদুল ফিতর ৬ জুন হলে ঈদের ছুটি একদিন বেড়ে ৭ জুন পর্যন্ত হবে। এ ক্ষেত্রে ঈদের ছুটি হবে ৪, ৫, ৬ ও ৭ জুন। অর্থাৎ ৭ জুনের ঈদের ছুটি পড়বে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। এ ক্ষেত্রেও ৩ জুন অফিস না করলে ৯ দিন ছুটি কাটানো যাবে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন সাধারণ ছুটি। এ ছাড়া এ দুই ঈদের আগে ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকে। এ দুই ঈদে তিন দিন করে ছুটি থাকে।
রোজার ঈদের সময় ৩ জুন ছুটি দেওয়া হলে যে দীর্ঘ ছুটি মিলবে, তা নজরে এসেছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনেরও। তবে ৩ জুনের ছুটি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ছুটি ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, কোনো অগ্রগতি থাকলে জানাব।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ৩ জুন ছুটি ধরলে ঈদে ছুটিটা দীর্ঘ হবে এবার। ৩ জুনও ছুটি ঘোষণার কোনো উদ্যোগ আছে কিনা- জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ঈদ তো এখনও বেশ দূরে। সময় আসুক কর্তৃপক্ষ এটা দেখবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলে ছুটি হবে। দেখা যাক।