ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামে দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে হাত পা বেধে ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে গ্রামের একটি মাঠ থেকে ওই ছাত্রীকে হাত মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেন কৃষকরা।
অন্যদিকে কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাড়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ম শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির পিতা শনিবার সকালে থানায় মামলা করলে রোববার বলিদাপাড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে খায়রুল (২২) ও রবিউল ইসলাম নবীর ছেলে মোর্তজা বাপ্পীকে (২৩) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পাশের বাড়িতে মোবাইল চার্জ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো কোলা গ্রামের ওই মাদ্রাসা ছাত্রী। এ সময় পথে ওৎঁপেতে থাকা একই উপজেলার খালকুলা বিত্তিপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে আলামিন ও তার এক বন্ধু মেয়েটিকে তুলে নিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।
শনিবার ভোরে কৃষকরা মাঠে পড়ে থাকা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌছে দেয়। কিশোরীর পিতা অভিযোগ করেন, রাতে তার মেয়েকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে যায় আলামিন ও তার এক বন্ধু। পরে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। দুই যুবকের একজনকে চিনতে পেরেছে ধর্ষিতা। দুই যুবক তাকে জোর করে তুলে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে একটি শ্যালো মেশিনের ড্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
এ বিষয়ে কোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ড্রেনের মধ্যে ফেলে রেখে যায় বলে শুনেছেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুস আলী খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় শনিবার বিকালে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রেমজ সম্পর্কের সূত্র ধরে কালীগঞ্জ শহরের আয়েশা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ৩ যুবক গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে ধর্ষিতার পিতা কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে বলিদাপাড় গ্রামের যুবক খায়রুল গত ৩ মাস ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই তার মেয়েকে কু-প্রস্তাব দিত। এক পর্ষায়ে তার মেয়েকে ফুসলিয়ে খায়রুল প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ঘটনা জানাজানি হলে মেয়ের পরিবার খায়রুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু খায়রুল বিয়ে করতে অস্বীকার করে। উপরন্ত তার বন্ধুদের সহযোগিতায় গত ২৫ এপ্রিল স্কুলছাত্রীকে জনৈক রাব্বীর ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে সামাজিক ভাবে ঘটনাটি নিরসন করতে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে ঘটনার ১৫ দিন পর ৩ যুবকের নামে থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে দু’জনকে আটক করলেও একজন পলাতক রয়েছে।