এ বছরই আবারো মাঠে গড়াবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমকালো আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এবারের আসরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ৪ ডিসেম্বর। আর প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে ৬ ডিসেম্বর।
চলতি বছরের শুরুতেই আয়োজন করা হয়েছিলো বিপিএল টি-টোয়েন্টি। গত বছরের শেষের দিকে আয়োজনের কথা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের কারণে টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে আনা হয় গত জানুয়ারিতে। বিপিএলের ষষ্ঠ আসর সফলভাবেই আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে বিসিবি। তবে সপ্তম আসরের জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না দর্শকদের।
গত বছর ছিল না কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে আগামী বেশ ঘটা করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বিপিএলের পর্দা উঠানোর চিন্তাভাবনা করছে বিসিবি। বিপিএলের ষষ্ঠ আসর শেষ হওয়ার পর গুঞ্জন উঠেছিল এই বছরই আয়োজন করা হবে আরো একটি বিপিএল। তবে সেখানে কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি আপত্তি জানায়। কারণ হিসেবে দেখায় সবকিছু গুছিয়ে নিতে তাদের কিছুটা সময় দরকার। তবে শেষ পর্যন্ত এই বছরেই আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিসেম্বরের আগে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে ফেরার পর ক্রিকেটারদের কয়েকদিন বিশ্রাম দিয়ে তারপরই শুরু সপ্তম আসর শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপিএলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সোহেল।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের শেষে বাংলাদেশ দল ভারত সফর থেকে আসবে। দল দেশে ফেরার পর কিছুদিন বিশ্রাম নেবে। ৪ ডিসেম্বর আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করব। আর ৬ ডিসেম্বর থেকে বিপিএল শুরু হবে। গত তিনটি আসরে আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে পারিনি। সবকিছু ঠিক থাকলে, বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বা রাজনৈতিক সংকট না এলে ওই সময়ের মধ্যেই বিপিএল শুরু করে দেব। ৭ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আমরা ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’
বিপিএলের প্রথম তিনটি আসরে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হলেও সময় স্বল্পতার কারণে চতুর্থ আসরে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়নি। ২০১৭ সালে দেশব্যাপী বন্যার্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পঞ্চম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়। আর ষষ্ঠ আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য। আর তাই সপ্তম আসর দিয়ে সেই হারানো জৌলুস ফিরিয়ে আনতে চায় বিপিএল গভর্নিং কমিটি।