রাজধানী ঢাকার নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়া সংস্থাগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রস্তাব জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। সিটি করপোরেশনকে যেভাবে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে বিভক্ত করা হয়েছে তেমনি সেবা সংস্থাগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব দেন সাঈদ খোকন।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাঈদ খোকনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাব দেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল খুবই সুদূরপ্রসারী। রাজধানী ঢাকার আকার দিন দিন বড় হচ্ছে। তাই যেভাবে সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করা হয়েছে, সেভাবে সেবাদানকারী অন্য সংস্থাগুলোকেও দুই ভাগে ভাগ করা উচিত। এতে নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা আরও দ্রুততম সময়ে তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যাবে। সময় এসেছে এখন এটা নিয়ে আলোচনা করার।
নাগরিক সেবা ও নগরের উন্নয়নে এখনো বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে থাকা সমন্বয়হীনতার বিষয়টি স্বীকার করে সাঈদ খোকন বলেন, সমন্বয়হীনতা এখনো অনেক বড় মাপের প্রতিবন্ধকতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে। নগর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারলে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যাবে।
এর আগে এক লিখিত বক্তব্যে নিজের চার বছরের দায়িত্বকালে নেওয়া নানান উন্নয়ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে ঢাকা দক্ষিণের এই নগরপিতা বলেন, বিগত চার বছরে নগর ও নগরবাসীর উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছি। শহরজুড়ে এলইডি বাতি স্থাপন, জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক ও ফুটপাত সংস্কার, খেলার মাঠ-পার্ক উন্নয়ন, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভেজালবিরোধী অভিযানসহ বেশকিছু কাজ আমরা সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছি।
তবে দায়িত্বকালের সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, মেয়র হিসেবে আমার মূল্যায়ন নগরবাসী করবেন। তবে এতদিনে নগরে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে পেরেছি আমরা। আমি কতটুকু সফল বা ব্যর্থতা তারাই বলবেন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে কোথাও কোথাও অনেক সফলতা পেয়েছি আবার কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে সফলতা আসেনি। তবে তার জন্য হাত গুটিয়ে বসে থাকিনি, থাকবো না। সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। ডিএসসিসি সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ডিএসসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর