তফসিল ঘোষণার পর থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে তার অবসান হয়েছে।
ডজন প্রতিযোগী থাকলেও নারী এমপির তালিকায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ছিলেন মাত্র একজন। তিনি হলেন দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তাকেই একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
মনোনয়ন পাওয়ার পর সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে রিটার্নিং অফিসার ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেমের কাছে রুমিন ফারহানা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ভিত্তিহীন মামলায় আজ কারাগারে। দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে বিশেষ করে ম্যাডামের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, জনগণ ও দলের পক্ষে কথা বলা- এটি যেন এমপি হয়ে করতে পারি সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
তিনি বলেন ,‘আমি সংসদে গিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির জন্য কথা বলব। দেশ ও জনগণের জন্য কথা বলব।’
তিনি আরও বলেন,‘আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তা নিষ্ঠা, সততার সাথে পালন করতে আমি সচেষ্ট থাকব।’
পেশায় আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তার বাবা অলি আহাদ একজন ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
আইনজ্ঞ হিসেবে রুমিন ফারহানার রয়েছে বাকপটুতা ও ক্ষুরধার যুক্তি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক পরিবারে (অলি আহাদের মেয়ে) বেড়ে ওঠা রুমিন ফারহানা বিএনপির কূটনৈতিক উইং শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া টেলিভিশন টকশোর পরিচিত মুখ হিসেবেই ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পরিচিত।
একাদশ জাতীয় সংসদের আগে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উকিল আবদুস সাত্তারকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। নিজ এলাকার মানুষের কাছে তেমন পরিচিতি না থাকলেও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে রুমিন ফারহানার পরিচিতি বেশ। কারণ বিভিন্ন সময় তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দ্রুত পরিচিতি পান এই নেত্রী।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন দলীয় বক্তব্য জাতিকে জানাতে সংসদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন রুমিন ফারহানাই।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিএনপির একটি নারী আসনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২১ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৮ মে এবং ভোট ১৬ জুন।