প্রায় সব পরিবারেই একটা সমস্যা, যেনো সাপে-নেওলে সম্পর্ক। বউ-শাশুড়ির এ সম্পর্ক পরিবারের সবাইকে বিষিয়ে তুলে। মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
যদিও বউ-শাশুড়িকে একসাথে একই ঘরে থাকতে হয়। সমতার মাধ্যমে না থেকে যদি সম্পর্ক বৈরী হয় তবে সুখের সংসারে অশান্তি নেমে আসে। অনেক সময় প্রাণপ্রদীপ নিভে যেতে পারে।
মানসিকতার মধ্যদিয়ে সহ অবস্থানে থাকতে হবে। তবে অনেকে চাইলেও পারেন না। বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক কিভাবে শাশুড়ি কিংবা বউ একে অপরের সাথে সম্পর্ক সুন্দর করে তুলবেন।
আপনি আজ পুত্রবধূ আগামীদিনে হবেন শাশুড়ি। শাশুড়ির দায়িত্ব অনেক বেশি। বৌমা আপনার থেকে বয়সে অনেক কম। বৌমা অভিজ্ঞতা আপনার কাছে কিছু না। সংসার সম্পর্কে সব কিছু শিখেই আপনার বৌমা আপনার গড়া সংসারের হাল ধরবেন।
মনে রাখবেন তিল তিল করে গুছিয়ে তুলা সুন্দর সংসার আপনার বৌমার হাতেই আরো নান্দনিক। সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারে সেই সংসার।। বৌমাকে সংসারের হাল ধরতে কিন্তু আপনাকেই সাহায্য করতে হবে। ধীরে ধীরে বৌমাকে বুঝাতে হবে, আপনার মতো তৈরি করে নিতে হবে।
শাশুড়ি হিসেবে বৌমাকে ছেলের বৌ না ভেবে নিজের মেয়ে হিসেবে ভাবুন। আপনিও যে একদিন নিজের বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর সংসারের এসেছেন এ কথা ভাবতে হবে।
বৌমার সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বৌমা আপনাকে সম্মান দেবেন, আপনি তাকেেদেবে আদর, স্নেহ-মমতা।
বৌমা মানসিকভাবে ভারো না থাকলে আপনার ছেলেও কিন্তু সুখে থাকবে না। নিজের সারাটি জীবন দিয়ে যত্ন করে যে আদরের ছেলেকে বড় করেছেন তার সংসারে অশান্তিই থেকে যাবে।
সংসারের সব খুঁটিনাটি বিষয় বৌমার সাথে শেয়ার করুন। কখন কোন পরিস্থিতিতে কি সিদ্ধান্ত নেবেন তাও বৌমার সাথে শেয়ার করুন।
অনেক মা-ই আছেন যারা বৌমাকে প্রতিযোগী মনে করেন। সংসারের কোনো দায়িত্ব দিতে চান না। মনে রাখা দরকার, আপনি কিন্তু চিরদিন থাকবেন না, আপনার বৌমাও চিরদিন থাকবেন না। পরবর্তী প্রজন্ম আপনার আদর্শ সঞ্চালিত করবে।
আর লক্ষ্মী বৌমা হতে গেলে শাশুড়ির সাথে কিভাবে সম্পর্ক বজায় রাখবেন সে ব্যাপারে আপনাকেই ভাবতে হবে।