হয়তো কথাটি আমাদের প্রথমেই বিশ্বাস হবে না। কিন্তু বিজ্ঞান এখন এটাকেই সমর্থন করছে। প্রাচীন কাল থেকেই বিবাহ প্রথা প্রচলিত। সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষায় এই প্রথা অনুসরণ করেই নারী-পুরুষ একত্রে বাস করে, সন্তান জন্ম দেয়।
কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, পৃথিবীর মানুষদের মধ্যে যেসব নারীর স্বামী-সন্তান নেই তারাই সবচেয়ে বেশি সুখী। শুধু তা-ই নয়, সন্তান পালনকারী ও বিবাহিত নারীদের চেয়ে অবিবাহিত বা কুমারি নারীরা বেশি বাঁচে।
এ সংক্রান্ত একজন শীর্ষ বিশেষজ্ঞ এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ওই বিশেষজ্ঞের নাম পল ডোলান। তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের আচরণ বিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক। শনিবার ‘হে ফেস্টিভ্যালে’ বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মানুষের সফলতা পরিমাপের জন্য প্রথাগত যে উপায়গুলো রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে সুখের কোনো সম্পর্ক নেই। বিশেষ করে সন্তান লালন-পালন ও বিয়ের সঙ্গে।”
“বিবাহিত মানুষরা শুধু তখনই সুখী যখন তাদের সঙ্গীরা ঘরে থাকে। কিন্তু যখন সঙ্গী কাছে না থাকে তখন তার জীবনটা দুর্বিসহ,” যোগ করেন তিনি।
বিবাহের দ্বারা শুধু পুরুষরাই উপকৃত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ কেননা, এর দ্বারা পুরুষ শান্ত ও স্থির থাকে। এতে তার ঝুঁকি কম। কর্মক্ষেত্রে তার আয়ও বেশি। এর ফলে তারা একটু বেশি দিন বাঁচে।”
“অন্যদিকে, বিবাহিত নারীকে তার সঙ্গীকে বিভিন্নভাবে সেবা বা সঙ্গ দিয়ে যেতে হয়। এ কারণে অবিবাহিত নারীর তুলনায় সে বাঁচেও কম দিন। সবচেয়ে সুখী এবং সুস্বাস্থ্যবান নারী হচ্ছে তারাই যারা বিয়ে করে না এবং সন্তান জন্ম দেয় না,” যোগ করেন পল ডোলান।