গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহে অতিষ্ট জনজীবন। বিশেষত খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে। সঙ্গে চলছে রোজার মাস। রোজাদার মানুষেরা অতিরিক্ত গরমে হাপিত্যেশ করছেন। এরই মধ্যে গত কদিন দেশের কোথাও কোথাও ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরো দু’একদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর গরমের তীব্রতা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ঢাকায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিতে গরমের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরও দু’একদিন অব্যাহত থাকবে।’
এই সময়ে রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, কুষ্টিয়া এবং মংলা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র।
এদিকে গত রোববার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসের উষ্ণ আবহাওয়ায় কালবৈশাখি, বজ্রঝড়ের অনুকূল পরিবেশ থাকে। বিশেষ করে উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কালবৈশাখির প্রাবল্য দেখা যায়। এই সময়টাতে যেকোনও সময় বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাতের আশঙ্কা বাড়ে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল গত পাঁচ দশকের মধ্যে রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে। ওইদিন ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।