দ্রুত বদলাচ্ছে তাপমাত্রা। গরমের মাত্রা এখনও অনেক। বাইরে বের হলেই ঘামে ভিজে একেবারে গোসল হয়ে যায়। অনেকেই রোদ থেকে ঘরে ফিরেই শান্তি পেতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল সেরে নেন। এতে আরাম পাওয়া গেলেও কিছু দিন পরই জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগতে শুরু করবেন আপনি। তাই গরমে যখন তখন গোসলের আগে সাবধান হতে হবে।
চিকিৎসকেরা বলছেন গরমের সময় শরীরে তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন জ্বর, সর্দি-কাশি ডেকে আনে। তীব্র রোদ থেকে হঠাৎ এসিতে যাওয়া অথবা রোদ থেকে ফিরেই গায়ে ঠাণ্ডা পানি দেয়া শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন করে। এর ফলে বুকে কফ জমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার সহজেই ভাইরাস জ্বর হতে পারে।
যে কোনো তাপমাত্রাতেই শরীরকে অভ্যস্ত করাতে হবে। এসিতে ঢুকে অন্তত ১৫ সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ রাখুন। রোদ থেকে ফিরে কখনই সাথে সাথে গায়ে ঠান্ডা পানি দেবেন না। শরীরকে ঘরের তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা করুন। ফ্যানের বাতাসে গায়ের ঘাম শুকিয়ে গেলে গোসলে যান।
শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে খুব সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। খেয়াল রাখুন, যাতে প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে।
মুখ থেকে নিজের হাত দূরে রাখুন। কারণ, হাত থেকেই নানা জীবাণু শরীরে ঢোকে। নিজের মোবাইল ফোনটি দিনে এক বার ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে অবশ্যই পরিষ্কার করুন।
শরীরে যথেষ্ট পরিমানে জিঙ্কের প্রয়োজন থাকলে বেশি করে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রোবায়োটিক-যুক্ত খাবার খেলে ফ্লু কমানো সহজ হয়। তাই টক দই রাখুন প্রতিদিনের খাবারে।
জ্বরে আক্রান্ত হলে সারা দিনে অন্তত চার লিটার পানি খান। শুধু পানি খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই, স্যুপ বা ডাল জাতীয় তরলেও ভাল কাজ দেয়।
নিজে কিনে কাফ সিরাপ খাবেন না ভুলেও। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।