০১৮ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। গত ৯ জুলাই সড়কে শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিক বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যমতে রাতেই শহরের আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীর ঘোষের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার জবানবন্দিতে পিন্টু জানিয়েছেন ঈদ উপলক্ষে শান্ত পরিবেশ থাকায় প্রবীর চন্দ্র ঘোষকে গত ১৮ জুন রাতে বিয়ার পানের কথা বলে তার বাসা থেকে ডেকে পিন্টুর ফ্ল্যাট বাসায় আনা হয়। এরপর টিভির ভলিউম বাড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে থাকে তারা। একপর্যায়ে চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে প্রবীরের মাথায় আঘাত করে পিন্টু। এতে নিথর হয়ে পড়লে ধারালো চাপাতি দিয়ে প্রবীরের দেহকে সাত টুকরো করা হয়। মাথা, দুই হাত, দুই পা, দেহ, পেট ও পাজর সাতটি খণ্ড করে বাজার থেকে ক্রয়কৃত সাতটি নতুন সিমেন্টের ব্যাগের মধ্যে চারটিতে টুকরো করা মরদেহ ভরে পিন্টু। আরেক ব্যাগে বালিশ, খাটের চাদর, ব্যবহার করা জামা ও দা প্যাকেট করা হয়। এরপর বাসার পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংকটিতে তিন ব্যাগে থাকা পাঁচ টুকরা রাখা হয়। আরেকটি ব্যাগ বাড়ির উত্তর পাশে ড্রেনে ফেলে দেয় পিন্টু।
এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ৩০ জন সাক্ষী থাকলেও ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
মামলার বাদী নিহতের ভাই বিদ্যুৎ সাহা বলেন, যার ফাঁসির আদেশ হয়েছে তার রায় দ্রুত কার্যকর চাই। তবে আমরা বাপেন ভৌমিকের যাবজ্জীবন ও মামুনের সাত বছর কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছিলাম। এখানে এক আসামিকে খালাস দেয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। আমার ভাইকে হত্যায় জড়িতরা উপযুক্ত শাস্তি পেলেই আমাদের পরিবার স্বস্তি পাবে।