নরসিংদীতে লেখাপড়া করানোর প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক ও ঐ মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ শীলমান্দী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাছে ঐ নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী; দুই মাস বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণসহ পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত এমবিবিএস ডা. জুলফিকার আলী গাজীপুর জেলার হোতাপাড়া থানার মনিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার উত্তর শীলমান্দী এলাকায় ছনিয়া নিটওয়ার মিলস শ্রমীকদের চিকিৎসা সেবায় কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাস পূর্বে দক্ষিণ শীলমান্দী এলাকার সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেন। ওই সময় ভাগ্নি পরিচয় দিয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে বাসায় উঠেন। এর পর থেকে মেয়েটিকে বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়। চিকিৎসক ও নির্যাতিতার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের উপর নজর রাখতে শুরু করেন বাড়ির মালিক। পরে ঘটনাক্রমে মেয়েটি বাড়ির মালিককে সব কিছু খুলে বলেন। পরে বাড়ির মালিক এলাকাবাসীর সহায়তার ঐ লম্পট ডাক্তারকে আটক করে পুলিশে শোপর্দ করেন।
নির্যাতিতা জানায়, ২০১৮ সালে এসএসসি পাশ করি। পরে দারিদ্রতার কারণে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে মানুষের সেবা করবো। তাছাড়া আমি লিভার রোগে ভুগছিলাম। চিকিৎসার জন্য মা এই ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায়। সবকিছু জেনে ঐ চিকিৎসক আমাকে নার্সিং কলেজে ফ্রি ভর্তি করার প্রস্তাব দেন। সেই জন্য নরসিংদীতে আসতে হবে বলে জানায়। একই সাথে তার বাসার কাজ কর্ম করে দেয়ার কথাও বলেন। সরল বিশ্বাসে মা আমাকে এখানে পাঠায়। বাড়িতে আসার পর তার রুপ পাল্টে যায়। ওখানে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে ও নির্যাতন চালায়।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দুজ্জামান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্বার ও চিকিৎসক জুলফিকার আলীকে আটক করা হয়েছে।