সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী বিল সংসদে পাস হতে পারে । সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের বিধি আরও ২৫ বছর বহাল রাখার জন্য এ সংশোধনী আনা হচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকেও সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত. ১০ এপ্রিল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশের সংবিধানে সপ্তদশ সংশোধনী আনতে একটি বিল সংসদে তোলেন। পরে এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গত ৬ জুন সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করা হয়। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ করা হয়। তবে ওই সময় মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
সংবিধান অনুযায়ী, ৩৫০ জন সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সংবিধানের ৬৫ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন, ২০০৪ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া ১০ বৎসর কাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশটি আসন কেবল মহিলা-সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে।
বাংলাদেশের সংবিধান ২০০৪ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৪৫টি আসন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়।
এরপর ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ৫০ করা হয়। তখন এর মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয় পরবর্তী সংসদের অর্থাৎ, নবম সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ১০ বছর।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসেবে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল আছে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান নারী আসনের মেয়াদ শেষ হবে। ফলে সপ্তদশ সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হলে পরবর্তী সংসদ থেকে তার মেয়াদ ২৫ বছর হবে।
সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদ সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আছে ২৩২ টি আসন।