বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ফখরুল হাওলাদারকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার দুপুরে চিকিৎসার জন্য নদীপথে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে আনার পথে ফখরুল হাওলাদারের মৃত্যু হয়। নিহত ফখরুল হাওলাদার ২নং ওয়ার্ডের চরহোগলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন হাওলাদার চান মিয়ার ছেলে।
সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য হুমায়ুন হাওলাদার বলেন, শুক্রবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ফখরুল হাওলাদারের প্রতিবেশী শরীফকে অপর প্রতিবেশী মো. ফারুক মারধর করেন। শরীফ মারধরের বিষয়টি রাতে ফখরুল হাওলাদারকে জানান। ফখরুল হাওলাদার ওই দিন বেলা ১১টার দিকে বাড়ির সামনে ফারুককে পেয়ে শরীফকে মারধরের কারণ জানতে চান।
এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ফারুক তার সহযোগী মিজান, পক্ষি দফাদার, ইসমাইল বাঘা, শরীফ বাঘা ও ওমরসহ ১০-১২ জনকে ডেকে নিয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে ফখরুলের ওপর হামলা চালান। লাঠি দিয়ে ফখরুলের মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফখরুল হাওলাদার। তারা চলে যাওয়ার পর ফখরুলকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফখরুলকে স্পিডবোটে শেবাচিম হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়।
নিহত ফখরুলের স্বজনরা জানান, ফখরুল ইউপি সদস্য থাকা অবস্থায় গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইসমাইল বাঘা, শরীফ বাঘা ও ফারুকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে তার। শুক্রবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আবিদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।