কুমিল্লার হোমনায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীকে স্কুল থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। আটকের নাম আবু সালেহ।
মামলার নথির তথ্যানুযায়ী, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে একই গ্রামের মুফতি নূরুজ্জামানের ছেলে জালাল মিয়া দীর্ঘ দিন থেকে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তবে অনেক দিন তাকে এড়িয়ে গেলেও এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। এরই সুযোগে ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে বাগমারা মহিলা মাদরাসা একটি কক্ষে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। মেয়েটির পরিবার জালালের অভিভাবকদের কাছে বিচার চাইলে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ভুক্তভোগীর পরিবার লোক লজ্জার ভয়ে ঘটনাটি লুকিয়ে রাখতে থানায়ও যাননি। এর মাঝে সোমবার বিকেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল থেকে ছাত্রীকে ডাকে অভিযুক্ত। তার নিজ কক্ষে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্তের বাবা মুফতি নূরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সাজানো নাটক। মান-সম্মান ও সমাজে হেয় করতে গ্রামের একটি মহল আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নাটক সাজিয়েছে।
হোমনা থানার ওসি সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বি জানান, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক এক জনকে আটক করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জবানবন্দী রেকর্ড করতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।