বরমচাল এলাকায় দুর্ঘটনার কারণে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়েছে সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। তবে দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে।
এমনটা জানালেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন। সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি এখবর নিশ্চিত করেন।
সচিব বলেন, নিহতদের পরিবারকে জেলা প্রশাসকের বরাদ্দ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকেও আর্থিকভাবে বরাদ্দ দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি।
রোববার রাতে দুর্ঘটনায় পড়ে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগি ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৬ মরদেহ উদ্ধারের কথা জানানো হলেও সোমবার (২৪ জুন) সকালে পুলিশ চারজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায়।
বরমচল এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটিতে ৩ সদস্য ও আরেকটিতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট। আঞ্চলিক ও বিভাগীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের সদস্যদের নিয়ে পৃথক এ দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর রেলপথ সচল করতে কাজ করে প্রায় শতাধিক শ্রমিক। এর তদারকি করেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশলী আব্দুল জলিল। অবশেষে সন্ধ্যা ৭টায় রেলপথ মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়।