বাংলাদেশে ও আফগানিস্তানের ম্যাচে ফের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিম দার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রুবেলের করা একটি ফুলটস বল রোহিত শর্মার কোমরের নিচে থাকলেও এই আলিম দারের নির্দেশে নো বল দেওয়া হয়। এছাড়া সেই ম্যাচে আম্পায়ারের একাধিক ভুলে সেমিফাইনালে আর খেলা হয়নি বাংলাদেশের।
পাকিস্তানের এই আম্পায়ার বাংলাদেশের কোনো ম্যাচে যুক্ত হলেই বারবার ভুল সিদ্ধান্ত দেয়া যেন অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছেন। সেই আলিম দার এবারের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান মধ্যকার ম্যাচের টিভি আম্পায়ার হিসাবে ছিলেন।
টাইগাররা যেখানে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে। সেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে আলিম দার যাবে না তা কি করে হয়!
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সাদামাটা হয় টাইগার দুই ওপেনার তামিম ও লিটন কুমার দাসের। শুরুতেই ভালো কিছুর আভাস দেন ওপেনিংয়ে খেলতে নামা লিটন। কিন্তু তার ভাগ্য খারাপ, কারণ ভালো কিছু করতে চাইলেও বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন লিটন।
মুজিব উর রহমানের বলে শর্ট কাভার থেকে ক্যাচ নেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ফিল্ড আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না আউট নিয়ে। তাই ডাকা হয় তৃতীয় আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি শহিদির হাত ছুয়ে মাটি স্পর্শ করেছে। অনেকক্ষণ ধরে দেখার পরেও টিভি আম্পায়ার নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, এটি আউট কিনা।
এক্ষেত্রে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন! এই আউটের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
সাইফুল ইসলাম নামে একজন লিখেন, ‘আলিম দারের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া দরকার। বাংলাদেশের খেলায় তাকে আম্পায়ার রাখা যাবে না।’
আনোয়ার হোসেন নামের অপর একজন লিখেন, ‘কানার ঘরে কানা পাকিস্তানি আলিম দার যতদিন বাংলাদেশের খেলার সময় আম্পায়ারিং করবে ততবার এই বিতর্কে জড়াবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।’
রফিকুল ইসলাম কামাল নামে একজন লিখেন, ‘আতাহার আলী খান সহ্য করতে না পেরে ধারাভাষ্যে বলেই বসলেন, ‘মে বি টাচড দ্য গ্রাউন্ড’। টিভি রিপ্লে বলছে, বল মাটিতে স্পর্শ করেছে। অথচ টিভি আম্পায়ার আলিম দার আউট দিয়ে বসলেন! এর পেছনে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সফট সিগন্যালও দায়ী।
ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্য বলছে, ‘এই সিদ্ধান্ত অনেক বিতর্ক তৈরি করবে।’