আইসিসির ইভেন্টে বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই পাকিস্তানি এই আম্পায়ার এবং প্রতিবারই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরোক্ষভাবে অবস্থান নিচ্ছেন এই পাকিস্তানি আম্পায়ার।
সোমবার সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন আলিম দার। ওই ম্যাচে আফগান স্পিনার মুজিব-উর রহমানের বলে লিটন দাসের একটি ক্যাচ নিয়ে দারুণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন আলিম দার। লিটনের ক্যাচটি ধরেন হজরতুল্লাহ শহিদী। টিভি রিপ্লেতে বার বার দেখা যাচ্ছিল, বলটা মাটি থেকে কুড়িয়ে তুলেছেন শহিদি। কিন্তু টিভি আম্পায়ার সেটাকে আউট বলে ঘোষণা দেন।
সাকিব আল হাসানের এলবিব্লিউ আউট নিয়েও বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। যদিও এখানে আলিম দার নন, ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটলবার্গ এবং মিকায়েল গফ দায়ী। মুজিব-উর রহমানের উপর্যুপুরি আবেদনের মুখে অনেকক্ষণ বিরতি নিয়ে এরপর আঙ্গুল তোলেন আম্পায়ার।
সাকিব রিভিউ নিলে, দেখা যায় বলটা লেগ স্ট্যাম্পে হয়তো আলতো ছোঁয় দিয়ে চলে যেতো বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত আম্পায়াররা আউট দেন না। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে দিয়েছিলেন। রিভিউতে তাই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন আলিম দার।
সেই আলিমদার আবারো বাংলাদেশের ম্যাচে। ২ জুলাই ভারতের বিপক্ষে বার্মিংহ্যামরে এজবাস্টনে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। নিজেদের সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশের সামনে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু মাঠে ভারতের ১১ ক্রিকেটারের সঙ্গে অলক্ষ্যে টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আলিম দারের বিপক্ষেও যে খেলতে হবে বাংলাদেশকে?
২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আলিম দার ছিলেন মাঠের আম্পায়ার। সেদিন রোহিত শর্মার ক্যাচ বাতিল করে দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এই পাকিস্তানি আম্পায়ার। সঙ্গে ছিলেন ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড।
সমর্থকদের প্রশ্ন, বিতর্কিত আলিম দার যখন বার বারই বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তখন কেন তাকে বাংলাদেশের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে থাকে আইসিসি?