ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির একটি রুমে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দুই ছাত্র-ছাত্রীকে পাওয়া গেছে। ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষ থেকে উদ্ধারের সময় রুমটির দরজা বন্ধ ও লাইট বন্ধ ছিল। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম তাদেরকে আটক করে। আটককৃত ছাত্রীর দাবি- রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় হলে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে সেখানে অবস্থান নেন তিনি।
ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, অন্যদিকে আইএমএলে পড়ুয়া মেয়েটি রোকেয়া হলের ছাত্রী, তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ওই ছাত্রটিকে নিতে টিএসসিতে আসেন এ এফ রহমান হলের জিএস রহিম। তিনি বলেন, ‘এ ছেলের জিম্মাদার আমি, তাকে আমি দেখব।’ পরে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান রহিম।
জানা যায়, রাত ১১টায় টিএসসির এক কর্মচারীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ওই দুই ছাত্র-ছাত্রী অফিসে প্রবেশ করে ভিতর থেকে দরজা ও লাইট বন্ধ করে দেয়। রাত ১টার দিকে সাংবাদিকরা দরজায় টোকা দিলে ১ মিনিট পর দরজা খুলেন তারা। প্রথমে মেয়েটা তার নিজের নাম না বলে তৃতীয় বর্ষের অন্য আরেক মেয়ের নাম বলে ভূয়া পরিচয় দেয়। ছেলেটিও নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করেন।
তারা জানায়, রাত ১১টা বেজে যাওয়ায় মেয়েটি হলে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে এখানে আসে। তারা দু’জন দু চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছিল বলে জানান।
দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কক্ষের ভেতর কি করছিলেন এমন- প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্র বলেন, তারা কক্ষের ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ২ জন শিক্ষার্থীকে সেখানে পাই। পরে তাদের হল কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে হলে বুঝিয়ে দেয়া হয়। তারা এত রাতে কেন সেখানে ছিলো বিষয়টি নিয়ে পরে বিস্তারিত তাদের সাথে কথা বলা হবে এবং কোন অপরাধ প্রমাণিত হলে বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, রাত ১০ টার মধ্যে কোন কাজ না থাকলে টিএসসির সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অফিস বন্ধ থাকার কথা থাকলেও এত রাতে কেন টুরিস্ট সোসাইটির অফিস খোলা? বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান প্রক্টর।