জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সারা দেশের বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর দেশের সেরা কলেজ নির্বাচিত হয়েছে রাজশাহী কলেজ। ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সেরা স্কুল হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সোহরাব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুন্সি শাহাবুদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ ফারুক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে ৫০টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের ২০১টি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও সম্মানি দেওয়া হয়।
এবার দেশের সেরা কলেজ নির্বাচিত হয়েছে রাজশাহী কলেজ। এ কলেজেরই শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সাহা সেরা কলেজ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে, ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সেরা স্কুল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। খুলনার দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা। রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিউট শ্রেষ্ঠ কারিগরি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে।
সেরা স্কুল শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বরিশালের সরকারি ডব্লিউ ইউনিয়ন মডেল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সেলিনা আখতার। দেশসেরা প্রতিষ্ঠান প্রধান ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত হয়েছেন কিশোরগঞ্জের এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনাজ কবীর, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের প্রফেসর ড. মো. গোলাম কিবরিয়া মন্ডল, যশোর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ড. সৈয়দ আব্দুল । মৌলভীবাজারের ইটাউরী মহিলা আলিম মাদ্রাসার মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান
শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা অফিসারের ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা–চট্টগ্রাম, মো. সাইফুল ইসলাম, লংগদু রাঙ্গামাটি নির্বাচিত হন।
শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর ক্যাটাগরিতে নৈঋতা হালদার, পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল, অনন্যা শাহরিন প্রমি, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী, মুহাম্মদ ফয়সাল , জামেয়া আমমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম, সুরঞ্জন দাস, রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রংপুর নির্বাচিত হন।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মনোনীতদের মধ্যে রয়েছে- সেরা কলেজ, সেরা স্কুল, সেরা প্রধান শিক্ষক, সেরা শিক্ষক, সেরা শ্রেণি শিক্ষক, সেরা স্কাউট, সেরা রেঞ্জার, সেরা রোভার, সেরা বিএনসিসি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর), সেরা গার্লস গাইড, সেরা স্কাউট গ্রুপ, সেরা রেঞ্জার গ্রুপ, সেরা রোভার গ্রুপ, সেরা স্কাউট শিক্ষক, সেরা গার্লস গাইড শিক্ষক, সেরা রোভার শিক্ষক, সেরা রেঞ্জার শিক্ষক, সেরা বিএনসিসি শিক্ষক, সেরা জেলা শিক্ষক কর্মকর্তা, সেরা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সেরা কেরাত, সেরা হামদ-নাত, সেরা রচনা, সেরা কবিতা, সেরা বিতর্ক, সেরা দেশাত্মবোধক গান, সেরা নৃত্যসহ প্রায় ৫০টি ক্যাটাগরি।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মনোনীতদের মধ্যে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত, একটি সনদ ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা মানেই ভালো শিক্ষক। তাই মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সহশিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা অংশ নিলে দেশপ্রেম, মানবতাবোধ ও সততা ধারণ করতে শিখবে। লেখাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শারীরিক-মানসিক ও আত্মিক বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে। সহশিক্ষা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে জাতীয় পর্যায়ে এসব প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশি বেশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।