থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে থাকা শিশুদের উদ্ধারকাজে ব্যবহার উপযোগী একটি ছোট আকারের সাবমেরিন তৈরি করেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এলন মাস্ক। গতকাল রোববার এক টুইটে পরীক্ষামূলকভাবে ওই সাবমেরিন চালানোর কথা জানান তিনি।
গতকাল থাইল্যান্ডের গুহা থেকে চার শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর একটি সুইমিং পুলে ছোট সাবমেরিন পরীক্ষা চালানোর ভিডিও প্রকাশ করেন মাস্ক।
তবে এ সাবমেরিন উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হবে কি না, তা এখনো জানায়নি থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ।
এ সপ্তাহের শুরুতে থাইল্যান্ডের সরকারকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দেন এলন মাস্ক। তাঁর স্পেস এক্স ও দ্য বোরিং কোম্পানির প্রকৌশলীরা উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে চান।
মাস্কের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুবা গিয়ার পরা তিন ব্যক্তি সুইমিং পুলে টিউবসদৃশ একটি সাবমেরিন পরীক্ষা করছেন।
এ সাবমেরিন দুজন ডুবুরি টানতে পারবেন। এর ভেতরে একটি শিশুকে রেখে তাকে টেনে আনা যাবে। এতে তরল অক্সিজেন প্রতিস্থাপন টিউব ব্যবহার করা হয়েছে। এটি যথেষ্ট হালকা। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি পুলে তা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান মাস্ক।
বোরিং কোম্পানির মুখপাত্র স্যাম টেলার বলেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের চার প্রকৌশলী থাইল্যান্ডের সরকারকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
পরে আরও একটি টুইটে মাস্ক বলেছেন, তিনি যে সাবমেরিন নিয়ে কাজ করছেন, তাতে সামনে চারটি ও পেছনে চারটি হাতল রয়েছে। এতে চারটি এয়ার ট্যাংক যুক্ত রয়েছে। এটি সরু পথ দিয়ে নেওয়া সম্ভব।
প্রযুক্তি সাইট সিনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার টুইটে মাস্ক বলেন, এখন পর্যন্ত সাবমেরিনের ধারণাটি সবচেয়ে কঠিন।
চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহায় বেড়াতে গিয়ে কোচসহ আটকা পড়ে ১২ সদস্যের কিশোর ফুটবল দলটি। বন্যার পানিতে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেলে তারা সেখানে আটকা পড়ে। আরও ভারী বর্ষণে গুহার মধ্যে পানির পরিমাণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুহা থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি এতটাই সরু যে সেখান দিয়ে স্কুবা ট্যাংক নিয়ে বের হওয়া সম্ভব নয়।
গত বৃহস্পতিবার শিশুদের অক্সিজেন সরবরাহ করে ফেরার পথে সেখানে মারা গিয়েছেন সামান গুনান নামে নৌবাহিনীর এক সাবেক ডুবুরি। গুহা থেকে বের হওয়ার কাজটি কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার ধারণা পাওয়া গেছে এই ঘটনায়।
গতকাল ওই গুহা থেকে চারজনকে উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা। আজ এখনো উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি।