কঙ্গোর দক্ষিণাঞ্চলে খনি ধসে অন্তত ৪১ জন শ্রমিকের প্রাণহানি হয়েছে। এতে ধ্বংসস্তুপে এখনও অনেকে আটকা পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির কোলওয়েজি এলাকার কপার ও কোবাল্ট খনিতে কাজ চলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হঠাৎ করে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে খনির প্রবেশমুখ। এসময় ভেতরে চাপা পড়েন প্রায় অর্ধ-শতাধিক শ্রমিক।
এদিকে সুইস ভিত্তিক বিখ্যাত খনিজ পণ্য উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান ‘গ্লেনকোর’ দাবি, নিচের বিষাক্ত গ্যাস, স্থান ও আলোর স্বল্পতার কারণে দমবন্ধ হয়ে বেশিরভাগ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার করতে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে খনি ধসের কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে প্রায় ৬০ শতাংশ কোবল্টের যোগান দেয় কঙ্গো। এই ধাতব পদার্থ ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। গেল বছর কোনও নিরাপদ সরঞ্জাম ছাড়াই অবৈধভাবে কঙ্গোর ৩০ শতাংশ কোবাল্ট উত্তোলন করা হয়।