ভারতে চাকরির ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছেন সংখ্যালঘুরা। হিন্দুদের তুলনায় অন্যান্য সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম, খ্রিস্টানদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম।
সদ্য প্রকাশিত ২০১৭-১৮-র শ্রমিকদের সমীক্ষা বা ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’তে দেখা যায়, ভারতের শহরগুলোতে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে সংখ্যালঘুদের বেকারত্বের হার অনেক বেশি। গ্রামের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ভারতের মুসলিমরা শিক্ষাদীক্ষা, চাকরি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণে পিছিয়ে থাকার কারণেই চাকরি পাচ্ছে না। আবার খ্রিস্টানরা শিক্ষায় এগিয়ে থাকলেও বেতাদের মধ্যেও কিন্তু বেকরত্বের হার কম নয়।
এ সম্পর্কে ভারতীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অদ্ভুত যুক্তি হলো, মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার হার কম থাকায় তারা চাকরি পায় না। আর খ্রিস্টানদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার হার বেশি বলেই তারা চাকরি পায় না। কর্মকর্তাদের মতে, উচ্চশিক্ষিত বলেই নাকি খ্রিস্টানরা যে কোনো কাজ করতে চায় না।
তবে কারণ যাই হউক না কেন, ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো যে কেবল রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক দিয়েই নয়, অর্থনৈতিকভাবেও বঞ্চিত হচ্ছে, এই পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথাই বলছে।
সূত্র: আনন্দবাজার