২০১৫ বিশ্বকাপের সেই বিতর্কিত কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই তুমুল উত্তেজনা। এবারও তাই হচ্ছে। ২ জুলাইয়ের ম্যাচে গ্যালারিতে আধিপত্য ধরে রাখার লড়াইয়ে নেমেছে দুই দেশের সমর্থকেরা। এতে ব্ল্যাকারদের হয়েছে রমরমা। নিজেদের উপস্থিতি বাড়াতে নাকি দুই-তিন গুণ দামে টিকিট কিনছেন বাংলাদেশ-ভারতের সমর্থকেরা! ভক্তদের যখন এই অবস্থা, তখন বাংলাদেশ শিবির পরিকল্পনা করছে ভারত-বধের।
আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এজবাস্টনে লড়াই করছে ভারত। আজকের ম্যাচে সকল বাংলাদেশি সমর্থকদের মতো মাশরাফি-মোসাদ্দেকরাও ভারতের জয় চাইছেন। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা যদি জেতা যেত কিংবা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা পরিত্যক্ত না হতো, তাহলে সেমির লড়াই নিয়ে এত ভাবতে হতো না টাইগারদের। কিন্তু এখন অংকের হিসেবে সেমির শেষ তিন জায়গা দখলের জন্য ৬ দল লড়াই করছে। প্রায় সবাই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল!
এমতাবস্থায় ভারতকে হারানোর জন্য বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী? অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, '৩০০-৩২০ রানের মধ্যে ওদের আটকাতে হবে। আমরা আগে ব্যাট করলে অন্তত ৩৪০ করতে হবে। টপ অর্ডার ওদের বড় শক্তি। যে কারণে যত দ্রুত সম্ভব টপ অর্ডার ভেঙে ফেলতে হবে। আর ওদের নতুন বলের বোলারদের উইকেট বেশি দেওয়া যাবে না। দুই রিস্ট স্পিনার কুলদীপ ও চাহাল যখন আসবেন, তখন যেন আমাদের হাতে যথেষ্ট উইকেট থাকে।'
সেমিফাইনালে ওঠার গাণিতিক হিসাব নিয়ে অতটা চিন্তিত নন মাশরাফি। নিজেদের কাজটা করে যাওয়াটাই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, 'পরিস্থিতর কারণেই অন্য ম্যাচগুলির দিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে। যতোই ওদিকে মন দিতে না চাই, অজান্তেই খেয়াল চলে যাবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নিজেদের কাজটুকু করতে পারা। সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া। ভারতকে যদি হারাতে পারি, পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে, তাহলে অন্তত নিজেদের কাজটুকু করতে পারার তৃপ্তি পাব।'