ওকে, ফাইন। মিন্নির আগে নয়নের সাথে বিয়ে হয়েছিল। পরে আবার মিন্নি পারিবারিকভাবে রিফাতকে বিয়ে করে। এটা নয়ন সহ্য করতে না পেরে রিফাতকে কোপায়। ধরলাম, মিন্নির সাথে পরামর্শ করেই খুন করে নয়ন ও তার বন্ধুরা।
অতএব এখানে খুনী নয়ন আর তার বন্ধুরা না। খুনী হল মিন্নি। অতএব, নয়ন আর তার সহযোগীদের বেকসুর খালাস দিয়ে মিন্নিকে ফাঁসি দেওয়া হোক!
স্পষ্টত এখানে খুনী নয়ন ও তার সহযোগীরা। কিন্তু পাবলিক তাদের রেখে মিন্নির পেছনে লাগছে।
অথচ নয়ন আর তার সহযোগিরা গ্রেপ্তার হলে সব জট খুলে যেত। কিন্তু তা না, আমাদেরকে মিন্নির পেছনেই লাগতে হবে, খুনটাকে জায়েজ করতে হবে খুঁড়াযুক্তি দিয়ে!
মিন্নি খুনী কি না, তা বলতে পারবে নয়ন। ভাইসব, নয়ন আর তার সহযোগীদের পিছনে লাগুন,সব বের হয়ে আসবে৷ মিন্নির পেছনে লেগে নয়ন আর তার গংদের আরো খুনের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েন না!
ভাইসব, আমরা কিন্তু মিন্নিকে দিয়ে রিফাতকে কোপাইতে দেখি নাই। দেখছি নয়নকে দিয়ে, আর মিন্নিকে দেখেছি আটকাইতে। একবার নয়নকে থামাইতে, একবার আরেকজনকে থামাইতে। এখন মিন্নি জড়িত কিনা সেটা নয়নরাই বলতে পারবে, এতটুকু বুঝলেই যথেষ্ট। নয়ন আটক হলেই সব ক্লিয়ার হবে,যদি মিন্নি জড়িত থাকে সেও শাস্তি পাবে।
কিন্তু আমাদের কনসার্নটা হওয়া উচিত নয়নদের নিয়ে, মিন্নি আপাতত অপশনাল সাব্জেক্ট। আর সঠিক তদন্তে মিন্নি যদি দোষী প্রমাণিত হয়ে থাকে, তাহলে নয়নদের সাথে তার ফাঁসিও দিতে হবে৷
এ পি এম সুহেল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত...