জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ফুসফুসে পানি জমেছে, শ্বাসকষ্টও বেড়েছে। ফলে আবারো তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। এর আগে, শনিবার তার শারীরিক অবস্থার ৫০ শতাংশ উন্নতি হলেও রোববার সকালে হঠাৎ অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরশাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় জাপা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের শারীরিক অবস্থার সবশেষ তথ্য জানান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই জি এম কাদের।
তিনি বলেন, তার (এরশাদের) ফুসফুসে পানি জমেছে। সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ওষুধের পরিবর্তন করে ইনফেকশন বন্ধের চিকিৎসা চলছে। সকালের পর অবস্থার আর অবনতি হয়নি। এমন চলতে থাকলে এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত আছে তবে তা চিকিৎসকদের নির্দেশনার ওপর নির্ভর করছে। এ মুহূর্তে সিএমএইচের চিকিৎসায় আমাদের আস্থা আছে। ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের চিকিৎসায় অর্থ সংকুলান প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে অর্থের অভাবে পার্টির চেয়ারম্যানের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না- এটা সম্পূর্ণ ভুল। আমার যা কিছু আছে সর্বস্ব দিয়ে হলেও ভাইকে সুস্থ করার জন্য ব্যয় করতে প্রস্তুত। তা ছাড়া তিনি তো এখনো সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। সাবেক রাষ্ট্রপতি সাবেক সেনাপ্রধান তার চিকিৎসার অর্থ রাষ্ট্রও দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়সহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এরশাদ। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। ৯০ বছর বয়সী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। এই কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি।
এরশাদ শারীরিক অসুস্থার কারণে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয় ছোটভাই জিএম কাদেরকে।