শুনতে আবাক লাগলেও একথা একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বাচ্চাদের যদি ছোট বয়সে খুব বকাবকি করা হয় তাহলে এক সময় গিয়ে তাদের শারীরের ওজন বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয় খুব বকা খাওয়া বাচ্চাদের নানা শারীরিক সমস্য়া হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই এখন থেকেই একটু সাবধান হন।
বাচ্চাদের বকবেন না, তা কেমন করে হতে পারে। কিন্তু এই বাকবকি যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়।
সাধারণত বাবা-মায়ের মধ্য়ে কেউ একজন যখন একটু রাগি হন, তখন অন্য়জন বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেশেন। এই ধরনের মানসিকতাও কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়া থেকে আটকাতে পারে না।
বকাবকি করলেই বাচ্চাদের মন খারাপ হয়ে যায়। আর একথা কারও অজানা নেই যে, মন খারাপ থাকলে আস্তে আস্তে শরীর খারাপ হতেও শুরু করে। তাই আজ থেকেই বকাবকির মাত্রা কমান। না হলে কিন্তু বিপদ!
একাধিক গবেষণা অনুসারে এই সমস্য়ার সবথেকে ভালো সমাধান হল, একটু নরম হন। সেই সঙ্গে দায়িত্ববান বাবা-মা হওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ যেমনটা আগেও বলেছি, বাচ্চাদের প্রতি যত বেশি খিটখিটে হবেন, তত বেশি কিন্তু আপনার বাচ্চা নানা ধরনের শারীরিক সমস্য়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়বে।
যদিও এইসব গবেষণায় অংশ নেওয়া বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের কখনও মারেন নি, তবে তারা অন্য় নানাভাবে তাদের রাগ প্রকাশ করেছেন। তাই সবসময় বাচ্চাদের মারাটাই যে ভয়ঙ্কর হয়, তা নয় কিন্তু! বকাবকি করলেও কিন্তু একই রকম খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই তো গবেষকরা বাবা-মায়ের আরও বেশি ধৈর্য ধরার পাশাপাশি বাচ্চাদের প্রতি আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এইসব স্টাডিতে দেখা গেছে বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের যত ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন, তত তাদের বাচ্চা নানা রকম শারীরিক সমস্য়ার থেকে দূরে থাকতে সক্ষম হয়েছে।