দীর্ঘ ২৫ বছর আগে বিএনপি আমলে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলির মামলার রায় আজ বুধবার। জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ রোস্তম আলী আজ রায় ঘোষণা করবেন।
মঙ্গলবার সকালে মামলার দুই আসামি পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. রুস্তম আলী আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা দুই আসামি হলেন- ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান এবং বিএনপি নেতা আবদুল হাকিম। তাদের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। এ নিয়ে ৩২ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হলো।
এর আগে গত সোমবার এ মামলার ৩০ আসামির উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়। এ মামলার প্রধান আসামি ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির দুলাল আদালতে হাজির না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
১৯৯৪ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে ট্রেনে করে খুলনা থেকে সৈয়দপুরে যাচ্ছিলেন। পথে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে শেখ হাসিনার কক্ষ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আসামিরা। তবে প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির ৭ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি।
মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। গত রোববার ৩০ জন আসামি জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।