বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচটির গুরুত্ব আপাত দৃষ্টিতে বেশ কম। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডসে আজ অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি। এই ম্যাচে পাকিস্তান এখনো সুযোগ খুজঁতে পারে সেমিফাইনালে পা রাখার। সে জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬০০ রান করতে চান পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শুক্রবার মাশরাফিদের ৩১৬ রানের ব্যবধানে হারাতে পারলে তবেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পা রাখতে সক্ষম হবে পাকিস্তান।
কাজটি অসম্ভব হলেও নিজেদের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবে পাকিস্তান। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন অধিনায়ক সরফরাজ। শুরুতে ব্যাটিং করলে ৬০০ রান করার হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আপনি যদি কোনো উইকেটে ৬০০, ৫০০ কিংবা ৪০০ রান করতে পারেন তখন কি আপনি প্রতিপক্ষকে ৫০ রানে অলআউট করতে পারবেন? এটি কঠিন তবে এরপরেও আমরা একটি চেষ্টা করবো।’
গতকাল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ বলেন, আমরা প্রথমে ব্যাট করে ৬০০ বা ৫০০ রান করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দলকে যদি ৫০ রানে অলআউট করতে পারি তাহলে সেমিফাইনালে যেতে পারব। জানি না কীসের ভিত্তিতে এই সমীকরণ হল। তবে আমাদের কিছুই করার নেই। অবশ্যই আমরা বড় স্কোর গড়তে চাই। আমাদের সেরা চেষ্টাই থাকবে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক আরও বলেন, আপনারা আগের ম্যাচগুলো নিয়ে কথা বলতে পারেন। পাকিস্তান চারটি ম্যাচ হেরেছে। কিন্তু এটা বিশ্বকাপ। দুই দলই শক্তিশালী। আশা করছি দল হিসেবে ভালো করতে পারব আমরা।
এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৩৯৭ রানের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে গত ১৮ই জুন এই রান করেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বাংলাদেশকে হারাতে হলে এই রানও টপকাতে হবে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘লক্ষ্য আমাদের সামনেই আছে। এখানে কোনো গোপনীয়তা নেই। আমাদের ৫০০ বা ৫৫০ রান করতে হবে এবং ৩১৬ রানের ব্যবধানে জিততে হবে। তবে আপনি যদি টুর্নামেন্টের দিকে দেখেন, বাস্তবে এটি ২৮০-৩০০ রানের টুর্নামেন্ট।’
চলমান বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচটির গুরুত্ব আপাত দৃষ্টিতে বেশ কম। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডসে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি। এই ম্যাচে পাকিস্তান এখনো সুযোগ খুজঁতে পারে সেমিফাইনালে পা রাখার। মূলত ইংল্যান্ডের কাছে নিউজিল্যান্ডের হারের পর সেমিফাইনালের লাইন-আপ চূড়ান্ত। যে কারণে সেমির আগে এখন সব ম্যাচই কেবল নিয়মরক্ষার। আর এই নিয়মরক্ষার ম্যাচ দেখতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না এমসিসির সদস্যরা। তাই লর্ডসে অনুষ্ঠিত খেলাগুলোর তত্ত্বাবধানে থাকা এমসিসি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে গ্যালারি ফাঁকা থাকার আশঙ্কা করছেন। যা লর্ডসের জন্য খুবই অপমানজনক।
লর্ডসের গ্যালারি যাতে ফাঁকা না থাকে সেজন্য ২৫০টি টিকিট স্কুলপড়ুয়া শিশুদের মাঝে বিতরণ করবে এমসিসি। বিশ্বকাপ ছাড়া অন্য ম্যাচগুলো এমসিসির সদস্যরা বিনামূল্যে দেখতে পারেন। বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার জন্য তাদের খরচ করতে হয় ৪৫ পাউন্ড। এমসিসির সদস্যদের জন্য এই অর্থ যৎসামান্যই বটে! এর আগে ২০১৭ সালে নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি লর্ডসে অনুষ্ঠিত হয়। ওই ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচটিতে হাতেগোনা কিছু দর্শক উপস্থিত ছিলেন। যে কারণে কঠোর সমালোচনা হয়েছিল।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচেও যাতে লর্ডসের গ্যালারি ফাঁকা না থাকে সেজন্য টিকিট বিনামূল্যে বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছে এমসিসি।