সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। যে কোনো সময় ত্যাগ করতে পারেন শেষ নিঃশ্বাস। ইতোমধ্যে শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হলেই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে এরশাদের।
বর্তমানে রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে এরশাদের কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয়। ডায়ালাইসিসের পর তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তার জন্য ‘বি’ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎকদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন, এরশাদের একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আক্তার।
সকাল ১০টার দিকে এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিকিৎসার জন্য ‘বি পজিটিভ’ রক্ত প্রয়োজন। দিতে আগ্রহীদের দ্রুত সিএমএইচে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফসাপোর্টে (কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র) নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, এরশাদের অধিকাংশ অঙ্গপ্রত্যঙ্গই কাজ করছে না।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকা এরশাদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ২২ জুন তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার এরশাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ সিনিয়র নেতারা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেখানে নিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই এরশাদের। হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
এদিকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি কামনায় শুক্রবার দেশের সকল উপসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করতে নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি। উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন সকালে এরশাদ অসুস্থবোধ করলে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।